ছয় বিদ্যালয়ে জীর্ণ ভবন
আল আমিন, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
🕐 ৯:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০১৯
ভবনের ছাদ থেকে প্রতিনিয়ত ধসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদ কিংবা পিলারের বড় বড় রড বের হয়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ ভবনগুলো। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতেই চলে আসছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ওইসব শিক্ষার্থীদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটাতে হয় ঝুঁকিতে। ছোট-খাটো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়গুলোতে নতুন ভবন থাকলেও পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত ও পুরাতন ভবন ঠিক যেন মরণফাঁদ। এমন ঝুঁকিপূর্ণ দুরবস্থা রাঙ্গাবালীর ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা পুরাতন ভবনগুলো ১৯৭৭ সালে নির্মিত হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। মেরামত অযোগ্য এবং ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরায় কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে এসব ভবনকে ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করেন। এই ভবনগুলো নতুন ভবন থেকে মাত্র ৫ থেকে ১০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে আছে। উপজেলার কাউখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিদ্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাববুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটবাইশদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ছয়টি বিদ্যালয়ে মৃত্যুকূপ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ভবনগুলো। কাউখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, দুঃখের বিষয় বলতে হয়, ভবনগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থায় বাচ্চারা অনিরাপদ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ বলেন, ১৯৭০ সালের পর নির্মিত সাইক্লোন শেল্টারগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ সাইক্লোন শেল্টারগুলো নিলামে দেওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা কাগজপত্র পাঠিয়েছি। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অনুমোদন সাপেক্ষে মহাপরিচালক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এটার চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। যে কোনো মুহূর্তে প্রয়োজনীয় কপি পেয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।