ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মহিষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা

বাড়ছে দুধ উৎপাদন

ছোটন সাহা, ভোলা
🕐 ৪:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

ভোলার চরাঞ্চলে মহিষ পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে পৌছে গেছে চিকিৎসাসেবা। এতে বাড়ছে দুধের উৎপাদন। আধুনিক ও উন্নত ষাড় মহিষ পেয়ে বাথানে আসছে নতুন জাত।

আধুনিক পদ্ধতিতে মহিষ পালনসহ স্বাস্থ্যকর উপায়ে মহিষ পালনে সহযোগীতা করছে পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। গত কয়েক বছরে মহিষের মৃত্যু কমে যাওয়া ও দুধের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন প্রাণি সম্পদ বিভাগ। এতে মহিষ মালিকরা বেজায় খুশি মালিকরা।

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল ইফাদের অর্থায়নে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের পেইজ প্রকল্পের সহযোগিতায় উন্নত পদ্ধতিতে মহিষ পালন ও জাত উন্নয়নে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা চরে উন্নত জাতের ষাড় মহিষ ও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। ফলে মহিষের আন্তঃপ্রজনন রোধ হচ্ছে ও মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে বলে জানান মহিষ মালিকরা। অধুনিক চিকিৎসাসেবা ও উন্নত জাতের ষাড় মহিষ পেয়ে মহিষ মালিকরা বেজায় খুশি। মহিষ পালনকারী চরের আবু বকর, লুৎফর ও সিরাজ উদ্দিনসহ অনেকে জানায়, আগে মহিষ পালন করে তেমন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেতনা। বিশেষ করে মহিষের অসুখ-বিসুখ হলে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়তে হতো কিন্তু এখন অনেকটা হাতের নাগালের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা।

পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন, চরাঞ্চলে মহিষ পালন বেড়েছে। আমরা বিভিন্ন ধাপে পর্যবেক্ষন করে আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত মহিষ পালনে সফলতা অর্জিত করেছি। ভবিষ্যতেও এ প্রকল্পকে আরও প্রসার ঘটানোর চিন্তা রয়েছে।

জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, বর্তমান সময়ে মহিষ পালন অনেক প্রসার লাভ করেছে। গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থাও আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছে।

জনবল সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্র দুর্গম এলাকায় যাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। কিন্তু ওই সংস্থার লোকজন দুর্গম এলাকা গিয়ে মহিষের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা ম্যাসেজ দেই। ফলে আমরা খুব দ্রুত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যেতে পারে।

দ্বীপজেলা ভোলায় প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন গরু ওমহিষের দুধের উৎপাদন চাহিদা রয়েছে, যার বিপরীতে জেলায় উৎপাদন হচ্ছে ৪২০ মেট্রিক টন।

 

 
Electronic Paper