ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিষখালীর মাটি ইটভাটায় হুমকিতে বাঁধ

নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস ননী, বামনা (বরগুনা)
🕐 ২:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯

প্রায় তিন যুগ ধরে বিষখালী নদীর দুই তীর জুড়ে চলছে অব্যাহত ভাঙন। সেই ভাঙনকবলিত স্থানগুলো থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। নদীর তীরের মাটি কেটে নেওয়ায় ভাঙন আরও তীব্র হয়ে উঠছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো।

সরেজমিন দেখা গেছে, বামনা উপজেলার চেঁচান, খোলপটুয়া, রামনা, দক্ষিণ রামনা ও চলাভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকাসহ নদী তীরবর্তী প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিষখালী নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে অন্তত ১২টি গ্রামের আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যুগ যুগ ধরে বামনার বিস্তীর্ণ জনপদ বিষখালীর নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হলেও শুধুমাত্র বামনা লঞ্চঘাট এলাকা ছাড়া ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এমন বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে এক শ্রেণীর ইটভাটা মালিক শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে নদী তীরের মাটি কেটে নিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডরের জালোচ্ছ্বাসে উপজেলার সব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিষখালী নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ সেই বাঁধের কাছ থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাটি বামনা উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটাসহ পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া, কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ বলেন, নদীর তীরের মাটি কাটা অবৈধ। মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে কেউ এর আগে জানায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা বলেন, গত ৫০ বছরে বিষখালী নদী ভাঙনে বামনার বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র চেঁচান থেকে বামনা লঞ্চঘাট পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার নদী ভাঙন রোধে ব্লকের কাজ করা হয়েছে। এখনও বিষখালীর অনেকাংশ জুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অথচ শুনেছি নদীর পাড় থেকে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইটভাটার জন্য মাটি কেটে নিচ্ছে। এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। না হলে নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে।

বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, নদী তীরের মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমি এ উপজেলায় নবাগত। অবৈধ কর্মকা- বন্ধের জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

 
Electronic Paper