ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পায়রায় নাব্য সংকট

আমতলী-পুরাকাটা ফেরি চলাচল বিঘ্ন

জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা)
🕐 ১০:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯

বুড়িশ্বর বা পায়রা নদী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২০০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।

বুড়িশ্বর বা পায়রা নদীটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাটি ইউনিয়ন এলাকার প্রবাহমান পাণ্ডব নদী হতে উৎপত্তি লাভ করে। এ নদীর জলধারা আঙ্গারিয়া, লেবুখালি, পাঙ্গাশিয়া, ইটবাড়িয়া, ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই, আয়লা পাটকাটা, গুলিশাখালী, আমতলী পৌরসভা, বুড়িরচর, আড়পাঙ্গাশিয়া এবং পচাঁকোড়ালিয়া, ছোটবগী ও নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক অধিক প্রশস্ত। এ নদী অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় শ্রেণীর নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত। অপরদিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের মিলিত হওয়া বিষখালী-বলেশ্বর মোহনায় লালদিয়া সমুদ্র সৈকত এবং পায়রা-বিষখালীর মোহনায় পদ্মাবাবুগঞ্জচর। তিন নদীর মোহনায় এ চর দুটি স্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে নদীর গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পায়রা-বিষখালী নদীর মোহনায় রয়েছে বড়াইয়্যার ডুবো চর। ১৫-২০ কিলোমিটার জুড়ে এ চর ফকির হাট থেকে শুরু করে আশার চরে মিলিত হয়েছে। এ চরটি বঙ্গোপসাগর থেকে পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। আশার চরের শেষ সীমানা থেকে শুরু হয়েছে নলবুনিয়ার ডুবোচর। এ ডুবোচরটি পায়রা নদীর প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত। পায়রার প্রবেশ মুখ অতিক্রম করে ৩-৪ কিলোমিটার পরে পরপর পদ্মা ও কুমিরমারা ডুবোচর ।
আমতলী-পুরাঘাট ফেরিঘাটের ইজারাদার আবদুস ছালাম খাঁন বলেন, গত বছর ফেরি চলাচলের জন্য ডুবোচরের মাঝখান দিয়ে একটি চ্যানেল নির্মাণ করে। ওই চ্যানেল এক মাসের মধ্যে ভরে গেছে। এতে ফেরি চলাচলের স্বাভাবিক গতি বিঘ্ন হয়। বরগুনা বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার মামুন অর-রশিদ ড্রেজিং করে পায়রা নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

 
Electronic Paper