বিশখালীতে তীব্র ভাঙন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
🕐 ১০:০৬ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০১৮
বর্ষা মৌসুম এখনো কিছুদিন বাকি আছে। এর আগেই ঝালকাঠির বিশখালী নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলার সুগন্ধা ও গাবখান নদীর অন্তত আট স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, সাইক্লোন শেল্টার, মসজিদ, বাজারসহ শত শত হেক্টর কৃষিজমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও বেশ কিছু স্থাপনা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মাধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশখালী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার রাজাপুর উপজেলা মঠবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লঞ্চঘাট, উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের কাচারিবাড়ী বাজার, চল্লিশকাহনিয়া ও মানকি সুন্দর গ্রাম, নলছিটি উপজেলার হদুয়া দরবার শরিফ, দেউরি সাইক্লোন শেল্টার, ভবানীপুর লঞ্চঘাট ও বাজার, বৈশাখী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা, চানপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু স্থাপনা। এছাড়া কাঁঠালিয়ার আমুয়া বন্দর রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত এ সপ্তাহ ধরে চলা ভাঙন অব্যাহত থাকালে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এসব স্থাপনা।
রাজাপুর বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা মোসারফ হোসেন বলেন, ‘বাড়িঘর আগেই নদীতে গেছে। গত এক সপ্তাহে বাদুলতলা লঞ্চঘাট এলাকায় বেশ কিছু দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়া বাদুরতলা বাজারটি গত পাঁচ বছরে একাধিকবার জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারটি আবারও ভেঙে যাচ্ছে।’
নলছিটির হদুয়া এলাকার বাসিন্দা কাসেম সিকদার বলেন, ‘জায়গা জমি বহু আগেই গেছে। গতবার বাড়ি গেছে এবার দোকানটাও গেল। এখন আমার আর কিছুই নেই। বিশখালী আমার সব খাইছে।’
নলছিটি ভবানীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ‘যে গতিতে ভাঙছে তাতে ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চাঁনপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয় তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো রক্ষা করা যাবে না।’