ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুখোমুখি ওমর-হারুন

শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-১ আসন। দুই উপজেলায় ৬টি করে মোট ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। জেলা নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৫ জন।

জানা যায়, এ আসনে ১৯৭৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ৩ বার, বিএনপি ৩ বার ও জাতীয় পার্টি (জাপা) ৩ বার বিজয়ী হয়। ১৯৭৩ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান ওমর এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে এখানে জাপার জাহাঙ্গীর কবির নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালেও জাপার মনোনয়নে পুনরায় জাহাঙ্গীর কবির এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে শাহজাহান ওমর বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালে জাপার আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (বর্তমানে পানিসম্পদমন্ত্রী) এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে শাহজাহান ওমর জেতেন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বজলুল হক (বিএইচ) হারুন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে তিনি আবার এমপি হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারেও নৌকা প্রতীকে লড়ছেন বজলুল হক হারুন। আর ধানের শীষ নিয়ে ভোটের মাঠে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ১৯৯১ সালে একবার বিএইচ হারুন এবং শাহজাহান ওমর মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন হারুনকে হারিয়ে এমপি হন শাহজাহান ওমর। এরপরে প্রায় ২৮ বছর পরে আবার মুখোমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন এই দুই নেতা।
রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলাকে বরাবরই ধানের শীষের ঘাঁটি মনে করা হয়। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এখানে বিএইচ হারুনের কাছে বিএনপির রফিকুল ইসলাম জামাল পরাজিত হন। তবে এবারে বিএনপি সমর্থকরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তারা মনে করেন এই এলাকায় দুই মেয়াদেও বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় ভোটাররা এমপির ওপরে অসন্তুষ্ট। এসব ক্ষোভের জবাব তারা এবারে ভোটের মাধ্যমে দেবেন বলে মনে করেন তারা।
তবে নৌকার সমর্থকরাও বিজয় প্রত্যাশা করছেন। আ.লীগের নেতাকর্মীদের ধারণা, দুই মেয়াদে এ আসনে হারুনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এ ছাড়া এ আসনের ১২টি ইউনিয়ন পরিষদেই আ.লীগের চেয়ারম্যান রয়েছেন। দুই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও আওয়ামী লীগ নেতা। এসব কারণসহ হারুনের ক্লিন ইমেজের কারণে আবারও এই আসনে নৌকা জিতবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায় কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুপক্ষই মাঠে থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএনপি কর্র্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন।
এ বিষয়ে বজলুল হক হারুন খোলা কাগজকে বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি এলাকার উন্নয়ন করেছি। আগামীতেও আমার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, ঝালকাঠি-১ আসনে শাহজাহান ওমরের কোনো বিকল্প নেই। শাহজাহান ওমর এমপি থাকাকালে এই এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নের ধারা ফিরিয়ে আনতে জনগণ আবারও শাহজাহান ওমরকেই এমপি নির্বাচিত করবেন।

 
Electronic Paper