জালিয়াতি মামলায় গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারগারে
গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গৌরনদী
🕐 ২:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৩
বরিশাল জেলা খাদ্য বিভাগে খাদ্য সামগ্রীতে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর কাজে জামানত হিসেবে ঠিকাদারের দেয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ১১টি পে-অর্ডার জালিয়াতি মামলায় গৌরনদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতের নির্ধারিত দিনে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী জেলা খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সি উচ্চাদালতের আদেশে জামিনে ছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার ১১টি পে-অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হচ্ছে- নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সি এবং অগ্রণী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপক আলী রেজা। একই সাথে ফরহাদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করে তার মালিকানাধীন ৩টি মিল কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এলাহী এগ্রো লিমিটেড খাদ্য বিভাগের খাদ্যে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এই কাজে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত মোট ১১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার জামানত দেয়। যা যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হয়। খাদ্য বিভাগের হিসেবে জমা হওয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার পে-অর্ডারের প্রকৃত মূল্য মাত্র ৭ হাজার ২ শ’ টাকা। ১শ’ টাকার একটি পে-অর্ডার জালিয়াতি করে ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৪ টাকা দেখানো হয়েছে। ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ’ টাকার একটি পে-অর্ডার যাচাই করে পাওয়া গেছে ২শ’ টাকা। অন্য ৯টি পে-অর্ডারও অনুরূপ জালিয়াতি করে খাদ্য বিভাগে জমা দেয় এলাহী এগ্রো। এছাড়াও ফরহাদ মুন্সির আরও দুটি প্রতিষ্ঠান খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী।