ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এসিডে দগ্ধ মেয়েকে ভারতে ফেলে এসেছে বাবা-মা

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী
🕐 ২:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৩

এসিডে দগ্ধ মেয়েকে ভারতে ফেলে এসেছে বাবা-মা

পটুয়াখালীর এসিড দগ্ধ কলেজ ছাত্রী (১৭) ভারতের ভেলরের সিএমসি হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। জানা গেছে, মেয়েটির বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে মেয়েকে সেখানে ফেলে এসেছেন। চিকিৎসাধীন মেয়েটি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর পুলিশকে জানিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থার আকুতি জানান।

 

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপে ভারতের ভেলোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসিড দগ্ধ ভুক্তভোগী তাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে মেয়েটির মা-বাবা তাকে

চিকিৎসার জন্য এ ভারতে নিয়ে যান। এর তিন সপ্তাহ পর তার বাবা-মা রাজা গাজী বাংলাদেশে চলে যান। বাবা-মা দুজনেই চলে আসায় এখন তার চিকিৎসা চলছে না।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মেয়েটির চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। তাই নিজেদের মধ্যে বিরোধে চাচাতো ভাইরা মেয়েটির মুখে এসিড ছুড়ে মারে। পরে মেয়েটির খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

জানা গেছে, এসিড দগ্ধ মেয়েটি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং পটুয়াখালীর বাসিন্দা। গত বছরের ২ আগস্ট রাতে তার উপর এসিড নিক্ষেপ করে তার চাচাতো ভাইরা। এরপর তাকে পটুয়াখালী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

পরে তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ২০ লাখ টাকা লাগবে জানালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু কিছুদিন পর অসহ্য যন্ত্রণায় কাটরাতে থাকলে তিন মাস আগে তার বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম তাকে নিয়ে ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভারতে আসার তিন সপ্তাহ পরই তার বাবা দেশে চলে যান। পরে তার বাবা আর টাকা না পাঠানোর কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুদিন পর তার মা তাকে হাসপাতালে রেখে চলে বাংলাদেশে চলে আসেন। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবা রাজা মিয়া জানান আমি একজন কৃষক।

সামান্য জমি জমা চাষ করে সংসার চালাই। মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করতে আমি দেশে এসেছি। এখনো টাকা সংগ্রহ করতে পারিনি।

 
Electronic Paper