ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাখাইন সম্প্রদায়ের বিরোধ চরমে, ফের সংঘাতের শঙ্কা

পটুয়াখালী ও কলাপাড়া প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৩, ২০২২

রাখাইন সম্প্রদায়ের বিরোধ চরমে, ফের সংঘাতের শঙ্কা

প্রায় ১০ কোটি টাকার ২৫ একর জমির মালিকানা নিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের দুই গ্রুপের বিরোধ এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে দুই পক্ষের সংঘাতে নারীসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। করা হয়েছে মামলা।

জানা গেছে, বালিয়াতলী ইউনিয়নের কোম্পানিপাড়ায় এই জমির অবস্থান। যার মৌজা ছোট বালিয়াতলী। এস এ খতিয়ান নং-১৯৫। কোম্পানি পাড়ার রাখাইন অংচোলা মাদবর এই জমির মালিকানা দাবি করে এক বাঙালির কাছে বিক্রির জন্য বায়না দলিল করেছেন। অপরদিকে তুলাতলী পাড়ার মায়া রাখাইন এই জমি নিজেদের দাবি করে জমিতে অবস্থান করছেন। তার দাবি চেয়ারম্যানদের দেয়া ওয়ারিশ সনদে তাদের ওয়ারিশদের বাদ দেয়ায় জমির মালিকানার বিরোধ শুরু হয়েছে।

এই জমির বিরোধ নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত এ রাখাইন পরিবার একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অতি সম্প্রতি মায়া রাখাইনসহ তাদের পাড়ার সাতটি পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের আাসামি করে মামলা করায় এর প্রতিবাদে এবং ভুয়া ওয়ারিশ সনদে জমি দখলে নেয়ার প্রতিবাদে শহরের মনোহরি পট্টিতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছেন। অপরদিকে জমির প্রকৃত মালিকানা দাবি করে অংচোলা রাখাইন তার স্বপক্ষের লোকজন নিয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

আরও জানা যায়, রাখাইন সিলাউ, নিলাউ দুই ভাই এবং তাদের এক বোন বুজাম মগনী এই জমির মালিক ছিলেন। মায়া রাখাইন জানান, ওয়ারিশ সনদে বুজাম মগনিকে নিঃসন্তান দেখিয়ে তার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয় অংচোলা গং। বুজাম মগ্নির ওয়ারিশ হিসেবে তিনি এই জমির অংশীদার। যা থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। মায়া রাখাইন জানান, বুজাম মগ্নীর সন্তান ছিলেন মেক্রাফু। সে মারা যাওয়ার পরে তার দুই মেয়ে সেমাচিং ও মাচিংফরু ওই জমির ওয়ারিশ। যারা এখনো জীবিত রয়েছেন।

ওই জমি ক্রয়ের জন্য বায়না সূত্রে মালিকানা দাবিদার রুবেল সিকদার জানান, তিনি কাগজপত্র যথাযথ ভাবে যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসীম জানান, রাখাইনদের জমিজমা নিয়ে কোন ধরনের সংঘাত না ঘটে এ জন্য তারা সতর্ক রয়েছেন।

 
Electronic Paper