শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২২

চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় মো. ইকবাল মুন্সি নামে এক মাছ ব্যাবসায়ীর পুকুরে বিষ প্রয়োগে বিভিন্ন ধরনের মাছের রেনু নিধনের অভিযোগ উঠেছে তার সৎ ভাই মাহাবুব গংদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার সময় দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড রুহুল আমিন চেয়ারম্যান বাজারের পাশে এ মাছ নিধনের ঘটনাটি ঘটে।
পুকুর মালিক ইকবাল মুন্সি জানান, আমি একজন পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। আমার পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ চাষ করি এবং বিভিন্ন ঘেরের মাছ আমার পুকুরে এনে এখান থেকে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি।
হটাৎ বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার সময় আমার বসত বাড়ীতে মানুষের শব্দে কুকুড় ডাকা শুরু করলে আমি টর্স লাইটের আলোতে আশেপাশে লাইট দিয়া অভিযুক্ত মাহাবুবসহ অজ্ঞাতনামা ০৪/০৫ জন লোককে দেখতে পাই।
ইকবাল মুন্সি বলেন, তাদের দেখে আমি টর্স লাইট পুকুরে মারলে মাছ মরে ভেসে থাকতেও দেখতে পাই। মাছ মরে থাকতে দেখে আমি ডাকচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তারা বিষয়টি শুনে এবং দেখে।
তিনি জানান, বিষ প্রয়োগে আমার পুকুরে থাকা রুই, কাতলা, চায়না পুটি, সিলবার , মিনার, তেলাপিয়া, চিংড়ি সহ অন্যান্য প্রায় ৪০ হাজার টাকার বড় মাছ চুরি করে নিয়া যায় মাহাবুব গংরা এবং ২ লাখ টাকার ছোট মাছের রেনু পোনার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে মাহাবুব কেন আমার এত বড় ক্ষতি করলো জিজ্ঞাসা করা মাত্রই মাহাবুব গংরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
তিনি বলেন, আমি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মাছ নিধনের ঘটনায় আমার প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এসময় তিনি অপরাধদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ইকবাল মুন্সি দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাঁর নিজ বাড়ির পুকুরে মাছ চাষাবাদ করে আসছে। বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি পুকুরের থাকা সব ধরনের মাছ ভেসে উঠেছে। এসময় মাছ নিধানের ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবীও জানান তারা।
অভিযুক্ত মাহাবুবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পুকুরে কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করেছে আমি দেখিনি, আমার নামে ইকবাল মিথ্যা রটাচ্ছে। এর বাহিরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।
দক্ষিণ আইচা থানার পুলিশ পরিদর্শক এ এস আই সাইফুল ইসলাম জানান, মাহাবুব গংদের নামে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
