ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘আমরা গ্রামীন জনপদ নষ্ট করে ফেলছি’: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আরিফ মোস্তফা, পিরোজপুর
🕐 ৯:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

‘আমরা গ্রামীন জনপদ নষ্ট করে ফেলছি’: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, সবুজ শ্যামলীমায় ভরা প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের গ্রামীন জনপদ আমরা নষ্ট করে ফেলছি। হিসাব মিলালে দেখা যাবে আমাকে প্রশান্তি দিয়েছিল গাছপালা, প্রকৃতি। সেই প্রকৃতিকে ধরে রাখার জন্য এখন অবিরাম লড়াই আমাদের।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে ৭ দিন ব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, তোমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কথা শুনেছ। বিশ থেকে পচিশ ভাগ জায়গায় গাছের বাগান থাকার কথা থাকলেও আমরা সে বাগান কেটে সব শেষ করে ফেলছি। এখন আর গ্রামে বাগান নেই। কেটে বাড়ী ঘর করে ফেলা হয়েছে। সন্ধায় এখন আর পাখির কিচির মিচির শব্দ পাওয়া যায়না। যে পাখির কোলাহল আমাদের আনন্দ মুখরিত করতো সে পাখির এখন আর থাকার জায়গা নেই, বাসা বাধারও জায়গা নেই। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য অন্য সব কিছু দরকার।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছর নিজে গাছ রোপন করে বৃক্ষমেলার সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রামের মেয়ে। পিরোজপুর থেকে অনতিদূরে টুঙ্গীপাড়ায় মেয়ে তিনি। তিনি নদীতে সাতাঁর কেটেছেন, বিলেগেছেন, শাপলা তুলেছেন। ছোট ছোট গাছ থেকে ফল তুলেছেন। তিনি গ্রামকে ভালো করে বোঝেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সবাইকে গাছ লাগানোর আহবান জানিয়ে গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, একটি গাছ একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার। গাছ না থাকার কারনে শিশু,অসুস্থ,বৃদ্ধরা বাতাসের সাহায্যে অক্সিজেন নিতে পারছেনা।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, গাছ দিয়ে আমরা জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পারছি। কাঠ দিয়ে কাগজ তৈরী সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরী করা হচ্ছে যা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছি। আমাদের সকলের নিজ আঙ্গিনায় অথবা নিজ জমিতে, বসতবাড়িতে বেশী বেশী বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে তার শৈশব, কৈশরের স্মৃতি রোমমন্থ করতে গিয়ে বলেন, বৃষ্টিতে ভিজেছি। আমরা ছোট বেলায় খেজুর গাছে উঠে রশনামাতাম, গাছে উঠে বিভিন্ন ফল পারতাম। গাছের উপরে থাকা পাখির বাসা থেকে বাচ্চা নামাতাম। কখনো পাখির বাসায় হাত দিতে গিয়ে দেখতাম পাখির বাচ্চা নেই সেখানে সাপ। কখনো গাছে উঠার সময় কিছুদুর গিয়ে গাছ পিচ্ছিল থাকার কারনে পা পিছলে পড়ে যেতাম। তার পরেও ক্ষান্ত হতাম না, টিয়া পাখি বা শালিকের বাচ্চা যোগার করতেই হবে। শৈশব, কৈশরের এ সুখটাই ছিল আলাদা।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের স্টল নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃক্ষমেলা চলবে।

 

 
Electronic Paper