অসহায় ঝালকাঠি ইকোপার্ক
শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ১:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২২
ঝালকাঠি ইকোপার্কের ভাগ্যাকাশে এখন কালো মেঘের ছায়া। নয়নাভিরাম এ পার্কটি এখন চলে যাচ্ছে ব্যক্তি মালিকানায়। সম্প্রতি ইকোপার্ক নিয়ে চলমান মামলায় হেরে গেছে সরকার পক্ষ। অভিযোগ রয়েছে ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হননি সরকার পক্ষের আইনজীবী।
২০০৩ সালে ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেল, সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর মোহনায় সরকারের ১নং ক্ষতিয়ানের প্রায় ২০-২৫ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠে নয়নাভিরাম ইকোপার্ক। এরপরে এখানে বালু ফেলে ও গাছ লাগিয়ে পার্কটির যখন সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছিল তখন একটি ভূমিখোকো চক্র ইকোপার্কের জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে।
তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ইকোপার্কের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। তবে পার্কটির তেমন কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলেও তিন নদীর মোহনায় ইকোপার্কের খোলা মাঠে এখনও অনেকেই আসেন অবসর বিনোদনের জন্য। শীতকালে এখানে থাকে বনভোজনের উৎসব। দীর্ঘ মামলা জটিলতার একপর্যায়ে স্থানীয় ভূমিখেকো চক্রটির সঙ্গে যোগসাজশে সম্প্রতি ইকোপার্কের এ জমিসহ ৩টি মৌজার মোট ৮৮.৩৬ একর জমির মালিকানা দাবি করে ঝালকাঠি ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন ঝালকাঠি পৌরমেয়রের ছেলে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম তালুকদার। মাত্র ৫৯ দিনে এ মামলায় তিনি পক্ষে রায় রক্ষায় যা যা করা দরকার সবকছিুই করা হবে বলে জানান তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল আলম কবির বলেন, এ মামলায় সরকার ও স্থানীয় কয়েকজনের নামে রং রেকর্ড হয়েছিল। সরকার পক্ষ এ মামলার শুনানির নোটিশ গ্রহণ করলেও তারা ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হননি। এছাড়া স্থানীয় যারা বিবাদী ছিলেন তারা বাদীর দাবি মেনে নেওয়ায় এ মোকাদ্দমায় আদালত বাদীপক্ষে রায় প্রদান করেন।
এদিকে ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী (জিপি) মীর রফিকুল ইসলাম আজম বলেন, এ মামলার কোনো সমন বা নোটিশ জেলা প্রশাসন থেকে যথাসময় জিপির দফতরে পৌঁছানো হয়নি। যার কারণে জিপির দফতর এ বিষয় অবগত ছিল না এবং ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইকোপার্ক রক্ষায় শীঘ্রই ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম আন্দোলন কর্মসূচি দেবে।