ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুয়াকাটা সৈকতের বেহাল অবস্থা

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী
🕐 ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২

কুয়াকাটা সৈকতের বেহাল অবস্থা

প্রকৃতিক দূর্যোগ এবং অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটা সৈকতের পরিধি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। প্রতি বছর বালুক্ষয় ও উত্তাল ঢেউ এক এক করে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার বিভিন্ন ধরনের গাছপালা গিলে খেয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও রয়েছে হুমকিতে। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্যহানি ঘটছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় কুয়াকাটার লগ্নিকারক ছাড়াও সকল ধরনের ব্যবসায়ীসহ পর্যটকরা একারণে চরম উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই দিকে তিন শ’ মিটার এলাকার ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড গেল বছরের মতো এ বছরও জিও টিউব স্থাপন করেছে। কিন্তু স্থায়ী কোন প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় উত্তাল সাগর আগামি দুই-চার বছরে মূল বাঁধও ঝুকির শঙ্কায় ফেলবে। বর্তমানে মীরাবাড়ি এবং মাঝিবাড়ি পয়েন্টে বেড়িবাঁধে জোয়ারের সময় ঢেউয়ের ঝাপটা লাগে। জিরো পয়েন্টের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জিও ব্যাগ। জিও টিউবে জোয়ারের সময় ঢেউয়ের ঝাপটায় ভিতরে পানি প্রবেশ করে ভিতরে আটকে থাকছে। পুকুরের মতো হয়ে যাচ্ছে।

ভাঁটার সময় নির্বিঘ্নে চলাচল করা যায় না। জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে একটি পাবলিক টয়লেট পড়ে আছে। এটির ময়লা-বর্জ্যরে ট্যাংকি জোয়ারের ঝাপটায় ডুবে যায়। পানি মিশছে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে। পর্যটকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন ওই পয়েন্টে গোসলে নেমে। দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশেপাশে। পশ্চিম দিকে ঢেউয়ের উত্তাল তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া স্থাপনার কাঠ-টিন পড়ে আছে। কোথাও স্থাপনার ভাঙ্গা অংশ পড়ে আছে। যেন ধ্বংস্তুপে পরিণত হচ্ছে। ক্রমশ শ্রীহীন হয়ে পড়ছে পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা সৈকত। চিরচেনা পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটকের কাছে অচেনা মনে হয়।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, প্রায় ১২ শ’ কোটি টাকা ব্যয় কুয়াকাটা সৈকতের ১২ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা প্রকল্প বর্তমানে প্লানিং কমিশনে দেয়া আছে। অতি দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু জানান, এখন বীচের যে অবস্থা তাতে পর্যটক গোসলে নেমে কমবেশি আহত হন। জিরো পয়েন্টের পাবলিক টয়লেটটি দেখে পর্যটকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। পর্যটকরা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে হতাশা ব্যক্ত করে দাবি করেছেন সৈকতের সৌন্দর্য অনেকখানি নষ্ট হয়ে গেছে। বীচ এখন এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে। জোয়ারের সময় ওয়াকিং জোন থাকছেনা। সৈকতে পড়ে থাকা জিও ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের ব্লকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা সৈকত রক্ষায় সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছেন।

 
Electronic Paper