দুই কিপটা
অভিজিত বড়ুয়া বিভু
🕐 ৩:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১
সামনে তো একের পর এক পূজা। দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা...।
-পূজা না বল একের পর এক খরচ। লক্ষ লক্ষ টাকা।
-তা বটে।
-তোদের তো খরচ কম। প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস তৈরিতে কত আর খরচ পড়ে।
-প্রবারণা পূর্ণিমার দিন তোদের লক্ষ্মীপূজা, তাই না!
-কেন?
-কেন আবার। চোরের চোর। তোরা তো সেদিন চুরি করিস।
-হা হা হা...। অ! এই কথা। এই চুরি তো ভাই চুরির পর্যায়ে পড়ে না। ফলফলাদি চুরি। নারকেল, কলা, জাম্বুরা, আখ এসব।
-সেদিন চুরি করার কারণ কী? বলবি।
-তুই তো দেখছি বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছিস। চুরি তো করি তোর আর আমার মতো আনাড়িরা। যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একসময় থেমে যায়। জাস্ট মজা করা।
-বলবি? নাকি শুধু ভাব নিবি।
-সেই কবে থেকে একটা কথা প্রচলিত ছিল লক্ষ্মীপূজার দিন খেলার ছলে চুরি করলে পাপ হয় না। সেই থেকে প্রচলন।
-অ এই কথা! আমি তো ভাবছি কী না কী।
-তো, এবার পুজোয় কত টাকা চাঁদা দিবি?
-চাঁদা ! পুজোর চাঁদার কথা মনে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়ে।
-বল তো শুনি।
-তখন আমি গোমদণ্ডী, বোয়ালখালীতে। সুমন ডাক দিল, ‘দাদা, দাদা রুম থেকে একটু বের হও তো। কথা আছে।’ সুমনের কথা শুনে ভাবলাম, ‘নিশ্চয়ই পূজার চাঁদা চাইতে এসেছে। ধুর, ভাল্লাগে না। অনিচ্ছাস্বত্ত্বে টিশার্টটা গায়ে জড়িয়ে সুমনের সামনে গেলাম। আমি কিছু বলার আগে সুমন হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘এই নাও দাদা। মা তোমার জন্য তিনশ’ টাকা পাঠাল। পূজা উপলক্ষে পছন্দমতো শার্ট কিনে নিও।’ তারপর আমি তো অবাক। মুখ দিয়ে কথা সরে না।
-ও আচ্ছা এই কথা! শুনলাম তোর সেই ঘটনা। এবার কত চাঁদা দিবি বল?
-আরে কীসের চাঁদা! লোকে আমাকে চাঁদা দেয়।
-দে না ভাই সামনে পূজা। বড়সড় বাজেট রে ভাই। প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস তৈরির সময় তোকেও চাঁদা দেব।
-অ্যাই পাগল, ফানুস তৈরির সময় চাঁদার দরকার হয় নাকি! নাকি কোনো সময় নিয়েছি। তাই বলছি চাঁদা দেব ঠিক আছে কিন্তু যা দেব তাই নিতে হবে। বাড়তি চাঁদা দাবি করতে পারবি না।
-আচ্ছা ভাই। যাই দিবি তাই লাভ।
-মানে...!
ইছামতী, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228