তথ্যে ভুল আছে
এস আর শানু খান
🕐 ৪:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ে একটু ভালোভাবে চলাফেরা করতে চেষ্টা করলে তখন ধনীরা যেটা বলে থাকেন-
১. মায়েন্দারের শাকে আদা।
২. খেতে বেগুন নেই আবার কুঁড়ের ভাওড়া।
৩. বাড়ি ছুঁচোর কেত্তন আর বাইরে কোচার পত্তন।
৪. ভাত যায় না পেটে আবার শ্রী আংটি হাতে।
ধনী পরিবারের ছেলেমেয়ে যদি বিলাসবহুলভাবে চলতে থাকেন তখন দরিদ্র লোকেরা যেটা বলে থাকেনÑ
১. বাপ-দাদার টাকা পয়সা আছে তো। তাই এত ফুটানি।
২. কাম-কাজ তো আর করতে হয় না। তাই এত ভাওড়া।
৩. অবৈধ টাকা ছাড়া এমন খরচ করা সম্ভব নয়। নিশ্চিত এগুলো ঘুষ, সুদের টাকাই হইব।
৪. হালাগো একবেলা যা খায় আমাগো তিন বেলাও তত খরচ হয় না।
দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা যখন একদম দরিদ্রভাবে কায়ক্লেশে জীবনযাপন করে তখন ধনী লোকেরা যেটা বলে থাকেÑ
১. পোশাক-আশাক, চাল-চলনই প্রমাণ দেয় এরা ফকিন্নির বাচ্চা।
২. একটু ভালো পোশাক পরলে কী হয়।
৩. মুখে শুধু অভাব আর অভাব। আসলে অভাব নয় ওটা ওদের স্বভাব।
৪. ওগো জন্য পরিবেশটাই নষ্ট হয়। সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
ধনী লোকেরা যদি একটু মিতব্যয়ী হয় এবং হিসাব করে জীবনযাপন করে তখন ধনীরা যেটা বলেনÑ
১. টাকা থাকলেই সব হয় না। মন থাকা লাগে মন।
২. টাকা নিয়ে কি কবরে যাইব নাকি। ভালোমন্দ খেতেও দেখি না।
৩. এই কৃপণপনা করেই তো একটু টাকাপয়সার মুখ দেখেছে।
৪. কথায় আছে না, স্বভাব যায় না ধুলে আর খাসলত যায় না মরলে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আসলে কেউ এরকম বলে কিনা জানি না। হুদাই এই ভাবনাটা মাথার ভিতর এসেছে। কারও বা কোনো সমাজের সঙ্গে মিলে গেলে সব দোষ আমাগো গ্রামের ইয়ার ভাইর। কেননা ইয়ার গরুর দোস্ত খেতে খেতে রোগী হয়েছেন। সারা রাত দিন মেঘের গর্জনের মতো কাশি দেন। যার জন্য গ্রামের মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
মনোখালী, হরিতলা, শালিখা, মাগুরা
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228