নাম শুনে আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজন মৌমাছির মতো দল বেঁধে মোরশেদ কাকার বাড়ির সামনে ভিড় জমাচ্ছে। ১০ লাখ টাকা দিয়ে শাকিব খানকে কিনে এনেছে মোরশেদ কাকা, এটা বিরাট এক ঘটনা। যে শাকিব খানকে টেলিভিশনে দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমায় তাকে বাস্তবে দেখার জন্য কেমন ভিড় হবে একটু আন্দাজ করে নেন।

শুয়ে ছিলাম। এমন ঘটনা শুনে স্থির থাকতে পারিনি। লুঙ্গি খুঁজতে খুঁজতে লেগে গেল কয়েক মিনিট। শেষপর্যন্ত অভিযান চালিয়ে খাটের নিচে পেলাম। লুঙ্গি কোনোমতে কোমরে বেঁধে মোরশেদ কাকার বাড়িতে দৌড়ে গেলাম। কী কা-! গেট বন্ধ করে শাকিব খানকে রেখে দিলে হবে! একজন পাবলিক ফিগার, জনপ্রিয় নায়ক, জনতার নায়ক, তাকে এইভাবে অন্ধকার একটা বাড়িতে আটকে রাখার কোনো মানে হয় না। গেটের বাইরে মানুষ চিল্লাপাল্লা শুরু করে দিয়েছে। কেউ কেউ স্লোগান ধরেছে- নাম্বার ওয়ান শাকিব খান, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান...।

মানুষ যতবারই এই স্লোগান দেয় মোরশেদ কাকার বাড়ির ভিতর থেকে হাম্বা, হাম্বা ডাক শোনা যায়।

বাড়ির ভিতর থেকে মোরশেদ কাকা ঘোষণা দিলেন, গেটের ওপর দিয়ে যে যা পারেন টাকা দেন, শাকিব খানকে টাকা ছাড়া দেখানো যাবে না।

মানুষও তাদের প্রিয় অভিনেতাকে দেখার জন্য গেটের ওপর দিয়ে বাড়িতে টাকা ফেলছে। এই এলাকায় শাকিব খানের ভক্তের অভাব নেই। সেটা যদি শাকিব খান জানতেন তাহলে মোরশেদ কাকার কাছে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হতেন না।

সবাই যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দিচ্ছে। টাকা দেওয়ার পর্ব শেষ হলেও মোরশেদ কাকা গেট খুলছেন না। বাইরে থেকে আবার চিল্লপাল্লা শুরু হলো। কাকা বাড়ির ভিতর থেকে ঘোষণা দিয়েছেন, শাকিব খানের ঘাস খাওয়া শেষ হলে দেখানো হবে। সে খুব ক্ষুধার্ত।

শাকিব খানকে দেখতে আসা দর্শকরা হতভম্ব। মোরশেদ কয় কী? ঘাস খেতে দিচ্ছে মানে?

রহমত দাদা বলে উঠলেন, তোর মাথা ঠিক আছে, শাকিব খানকে ঘাস খেতে দিছস মানে?

শাকিব খানের ঘাস খাওয়া শেষ সে এখন পানি খাচ্ছে।

কাকার এমন আজগুবি কথা শুনে গরমে দর্শকদের মাথা গরম। শাকিব খানকে এত বড় অপমান। কয়েকজন আবার স্লোগান ধরেছে, শাকিব খানের কিছু হলে, মোরশেদের গালে, জুতা মারব তালে তালে।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে মোরশেদ কাকা বাড়ির গেট খুলে দিলেন। ভিতরে ইয়া বড় এক ষাঁড়, যার গায়ে লেখা- শাকিব খান!

নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা