ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সেলুনে বেলুনে

অভিজিত বড়ুয়া বিভু
🕐 ২:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২১

সেলুনে বেলুনে

যতই বলি না কেন আপাতত সেলুনে যেও না। পরিস্থিতি ভালো না। কে শোনে কার কথা। সেলুনে গোঁফ-দাড়ি কেটে আসে। আর সেলুন থেকে আসে তো আসে। এসে আমার সঙ্গে হিরোগিরি দেখায়। বলে, ‘ক্লিন সেভ। এ যেন কাশফুলের নরম ছোঁয়া। হা হা হা।’

লকডাউনকালীন বাসার ছাদে দুই বান্ধবীর আলাপচারিতা। এক বান্ধবীর কথা শেষে অন্য বান্ধবী বলল, দাদাবাবুর মাথামু-ু নষ্ট হয়ে গেল নাকি! ‘কাশফুলের নরম ছোঁয়া’ এটা তো বেলুন কোম্পানির বিজ্ঞাপন। কীসের মধ্যে কী!
-আরে ধুর। বেলুন বা কনডমের বিজ্ঞাপন নয়। এটা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের বিজ্ঞাপন।
-অ! তুই তো আবার আধুনিক। বেশি জানিস।
-তোর দাদাবাবুর আরেকটা গল্প বলি। সেদিন ছোট্ট কীসের যেন একটা প্যাকেটে এনে ডেস্কে লুকিয়ে রাখল। ভাবখানা এমন যেন তার এই লুকোচুরি আমি দেখিনি। উনি ওয়াশরুমে গেলে দেখি ছোট ছোট সাইজের কয়েকটা রঙ-বেরঙ বেলুন। ভাবলাম অফিস কলিগদের কারও জন্মদিন আছে কিনা। তারপর আর বেলুনের ব্যাপারে কোনো কথা বললাম না। খেয়ে দেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। এপাশ-ওপাশ করতে করতে হঠাৎ দেখি তোর দাদাবাবু আমার পাশে নেই। শেষমেশ উনাকে পাশের রুমে আবিষ্কার করলাম। দেখলাম সে দিব্যি আরামে মনোযোগ সহকারে বেলুন ফোলাচ্ছে। বললাম, এসব কী করছ? বাচ্চা ছেলেদের মতো। বলল, তুমি তো এসব বোঝো না। জানোও না। করোনার হালনাগাদ খবরাখবর রাখো? যেভাবে প্রতিবেশী দেশে...। বললাম, তো বেলুনের সঙ্গে করোনার সম্পর্ক কী? বলল, এই বেলুন ফোলানোর মাধ্যমেই ত ডাক্তারবাবুরা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে বলল।
বললাম, অ! এজন্য কিনা হুটহাট করে সেলুনে গিয়ে শেভ করে আসো। আর উনি কিনা...। এই তুমি কি দিনদিন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছ। বেলুন ফোলানোর কাজে আমাকে ডাকলে তো পারতে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা কি আমার দরকার নাই। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দুইজনেরই হতে হবে। স্বার্থপর।
বলল, তুমি যদি আমাকে কীসের বেলুন? কেন বেলুন? কেন কনডম এই বয়সে... এসব বলে যদি ঠাট্টা-মশকরা কর। তাই...। আর এই হলো তোর দাদাবাবু।

মহাখালী, ঢাকা

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper