শুক্রবারের ব্যাচেলর
সুজন মজুমদার
🕐 ১:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
শুক্রবার ব্যাচেলর তরুণদের জন্য কিছুটা স্বাধীন দিন। তারচেয়ে অঘোষিত কষ্টের দিন। কারণ, এদিন ব্যাচেলরদের সপ্তাহের জমিয়ে রাখা কাপড়চোপড় ধুতে হয়। আজ ঘুম থেকে উঠে কাপড়চোপড় ধুতে গিয়ে দেখি আকাশ কাঁদছে। আকাশে কোনো রোদ নাই? সেই সঙ্গে প্রিয় মানুষের আহাজারি আমরা ঘুরতে বের হব। কত শত পরিকল্পনা, এটি করব নাকি ওইটি করব। এইভাবে কিছুক্ষণ পরে জুম্মা নামাজের আজান। তড়িঘড়ি গোসল করে মসজিদে চলে গেল বাবু।
দুপুরবেলা খাবার খেয়ে একটু বিরতির জন্য খাটে আড়াআড়ি টান দিল। কিছুক্ষণ পরে রিং বেজে উঠল স্বর্ণার। তুমি কোথায়? কখন বের হবে? রাত হলে? আরও কত শত প্রশ্ন। পার্কে গিয়ে দুইটি হাত এক হাত হয়ে হাঁটাহাঁটি করেছে বাবু আর স্বর্ণা। কিছুক্ষণ পর এক কর্নারে বসে বাদাম নিয়ে গালগল্পে মেতেছে।
চাঁদের আলো অন্ধকার হয়ে আসছে। চতুর্দিকে আজানের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। কেউ মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কেউ নিজ গন্তব্য স্থলে চলছে। কেউ হৈচৈ করছে। কী এক অদ্ভুত পৃথিবী। এইগুলো দৃশ্য হঠাৎ বাবু মনোনিবেশ অনুভব করছে এবং বাস্তবতার চিত্র চোখে ফুটে উঠেছে। স্বর্ণ বলে উঠল, কী ভাবছেন? আমি চলে যাচ্ছি, রাত হয়ে যাচ্ছে। বিদায় নিল স্বর্ণা। রানা পার্কে ঢুকল মাত্র। আর সামনে চোখে পড়ল বন্ধু বাবুকে। তারপর আবার আড্ডা মেতে উঠল দুই বন্ধু।
আড্ডার ফাঁকে বাবু ক্ষুধা অনুভব করল। অন্যদিকে শুক্রবারে খিচুড়ি না খেলে নিজেকে গরিব গরিব মনে হয়। রানাকে বলল খিচুড়ি খাওয়ার জন্য। কেন খাওয়াবে রানা? হঠাৎ রানা বলল ঠিক আছে আগামী শুক্রবারে আমার কাপড়চোপড় ধুতে হবে। তাহলে খিচুড়ি খাওয়াব। কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে সহজ শর্তে রাজি হয়ে গেল বাবু। রানা মনে মনে ভাবছে, শুক্রবারে ব্যাচেলর কী আসলেই এত সস্তায় বিক্রি হয়ে যায়?
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228