কণ্ঠ চেনার চেষ্টা করছি। পারছি না। ওপাশ থেকে কথা বলছে আমি টুকটাক উত্তর করছি। অবশেষে বলেই ফেললাম— কে আপনি?
—আমাকে চেনো না! সেদিন কলেজের পুকুরপাড়ে দেখা হলো। ফোন নাম্বার দিলে।
কলেজের পুকুরপাড়ে গিয়েছিলাম। কাউকে তো ফোন নাম্বার দিইনি। আমি আর বান্ধবী তো সঙ্গে ছিল।
—ফোন নাম্বার দিয়েছি? মনে তো পড়ছে না।
—বলো কী?
—হ্যাঁ ভাই। কে আপনি, আসলে চিনতে পারছি না।
আবার নাম বলল, কিন্তু না আমি কোনোভাবেই চিনতে পারছি না।
বললাম— চিনতে পারছি না একদম...।
—কী বলো এসব! সেদিন দেখে বললে, ঋত্বিক রোশনের মতো দেখতে। আজ চেনো না, আবার ভাই বলছ!
ফোনটা কেটে দিলাম। নাম্বার আমার অন্য সিমে সেভ আছে কিনা চেক করলাম। নেই তো।
একটু পর নববিবাহিতা বান্ধবী কল দিল।
—কী রে, ভুলেই গেছিস! তোরা তো আমার খোঁজও নিস না। মরে গেছি নাকি যাইনি!
—মরবি কেন? এখন তো নতুন করে বাঁচবি।
—আচ্ছা শোন। একটা ফোন নাম্বার লাস্ট ডিজিট ২৯; ওকে খুব জ্বালাচ্ছে। নতুন বিয়ে হয়েছে আমাদের। দুলাভাই কী ভাববে!
বললাম— একটু অপেক্ষা কর। সকাল সকাল একই ফোন নাম্বার আমাকেও এটা-ওটা বলেছে। একটু ব্যস্ত আছি। এরপর ওর চৌদ্দ গোষ্ঠীর খোঁজ বের করব। মনে হচ্ছে পরিচিত কেউ রে।
কথাটা বলার পর ও একটু হাসল। তারপর মাথায় এলো, ওর তো নতুন বিয়ে হয়েছে। দুলাভাই দুষ্টুমি করছে না তো!
ওকে বললাম, এটা তুই! তাহলে সকাল সকাল ফাজলামি?
—ছেলের কণ্ঠ তো!
—বুঝেছি, ওটা দুলাভাই। সকাল সকাল ডজ দিলি। আমি তো চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।
পরে জানতে পারলাম ফাজলামি করা ঋত্বিক রোশন নাম বলা ব্যক্তিটি আমাদের রিংকু দুলাভাই!