বললাম, কোন অপু? আর আমি বা চিনব কী করে?
মফিজ ভাই চোখ দুটি লাল করে বলল, এত ভনিতা না করে সোজাভাবে বলে দাও। রিয়ার নতুন বয়ফ্রেন্ড, অপু নামের ছেলেটার পরিচয়।
কথার সামনে-পেছন না পেয়ে আমিও কথার ব্রেক চেপে বললাম- মফিজ ভাই, আসল ঘটনা কী? খুলে বল তো।
মফিজ ভাই ঘোঁত ঘোঁত করতে করতে বলল, শোন। রাতে রিয়ার কাছে ফোন করেছি। কয়েকবার রিংটোন বাজার পরে রিয়া কল ধরে আমাকে বলে, তুমি আমাকে এত বিরক্ত করছ কেন! তোমাকে না সন্ধ্যায় বলেছি রাতে ফোন দিও না। আমার ভালো লাগছে না। এর পরেও কেন বিরক্ত করছ আমাকে? বললাম, ভালো লাগছে না তো কী করছ? রুমে শুয়ে থাকো ভালো লাগবে। আমার কথা থামিয়ে, রিয়া বলল, আমি অনেক আগে থেকে অপুকে আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি। গান শুনছি, ভালো লাগছে গান শুনে। এ কথা বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। পরে অনেকবার কল করেও লাইনে পাইনি। শেষে মেসেজ করে রিয়ার সঙ্গে ব্রেকআপ করেছি আমাদের ভালোবাসার। রিয়া  একটা বাজে মেয়ে, জীবনে বড় ভুল ওর মতো একটা বেইমান মেয়েকে ভালোবাসা।
মফিজ ভাইয়ের কথা শেষে বললাম, আরে মিয়া, আপনি তো বেকুব মার্কা লোক। রিয়ার বিষয়ে কী সব বাজে বলছেন! শুনেন, অপু (অপ্পো) হচ্ছে রিয়ার নতুন ফোনের নাম। গতকাল ওর বড় ভাইয়া গিফট করেছে। আর আপনি কিনা...! এসব আবোল-তাবোল কথা বলার কারণেই বুঝি
গ্রামের লেংটা পোলাপানও আপনারে মফিজ নামে ডাকে!
ফোনের নাম যে অপু আছে এ কথা শুনে, চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো মাথা নিচু করে চলে গেল মফিজ ভাই। যাওয়ার আগে বলে গেল, তাই তো লোকে বলেÑ ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না!