ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডাক্তার রোগী সমাচার

আলম তালুকদার
🕐 ১২:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০

শুরু করা যাক সেই ছোটকালের প্রশ্ন দিয়ে। ডিম আগে না মুরগি আগে? বেকায়দার প্রশ্ন বটে। তো এখনকার আলোকে প্রশ্ন, ডাক্তার আগে না রোগী আগে? এই দুনিয়ায় ডাক্তার আগে না রোগী আগে আইছে? এই রে জোক্স আইছে হে!

তাই আগে বলি।
তিন বন্ধু। একজন ডাক্তার, একজন ইঞ্জিনিয়ার আরেকজন রাজনীতিবিদ। তর্কের বিষয় কার পেশা দুনিয়াতে আগে আইছে? ডাক্তার বলেন, আমার পেশা আগে। আদমের সিনা সার্জারি করেই বিবি হাওয়ার জন্ম। কাজেই ডাক্তার আগে। ইঞ্জিনিয়ার বলল, ধুর বেটা, কোরআনের কথা মনে নাই! মহান আল্লাহ ছয়দিনে এই দুনিয়া বানাইছে। সব ডিজ অর্ডার ছিল, সেটাকে ইন অর্ডারে ছয়দিন লাগছিল। কাজেই আমার পেশা আগে। সব শুনে রাজনীতিবিদ বলল, আরে অগারাম, আমার কথা হইল, এই ডিজ অর্ডারটা কে করেছিল হে? কে? এখন নিজেরাই চিন্তা কইরা কও কার পেশা আগে?
কিন্তু মানুষের ডিজ অর্ডার হলে সেটা অর্ডারে আনা ডাক্তার ছাড়া গতি নাই।
এক ডাক্তার নতুন মডেলের গাড়ি বেশ কয়েক মাস ব্যবহারের পর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে এক গ্যারেজে নিয়েছে। তো ওরা সাতদিনেও ঠিক করতে না পারলে ডাক্তার রেগে গেলেন। রেগে বললেন, তোমরা কী কচুর মেকানিক? সাতদিনেও আমার নতুন গাড়িটা ঠিক করতে পারলা না? তার রাগারাগির ভাব দেখে এক মেকানিক বলল, স্যার, গাড়ির মডেল তো বছরে বছরে বদলায়, এই জন্য আমাদের ধরতে সময় লাগে। এই কথা শুনে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। তখন ওই মেকানিক তার মোক্ষম জবাবটি দিলেনÑ কিছু মনে করবাইন না। আপনি ডাক্তারি করেন মানুষের। মানুষ আছে একই মডেলে। আদম হাওয়া হতে এই মডেলের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। তারপরও আপনারা রোগ ধরতে পারেন না, নানারকম টেস্ট করেও অসুখ সারাতে পারেন না! ডাক্তার জবাবে কী বলেছিলেন জানি না।
আগের দিনে ডাক্তাররাই রোগীর কাছে যেতেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে তারা চিকিৎসা দিতেন। হাসপাতাল সিস্টেম আসার পরে না, তারা, হু হু হু হয়া গেছেন।
দুনিয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে জোক্স খুবই বেশি। তারপর ডাক্তার আর রোগীর জোক্স বেশি। কারণ? এরা দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য।
আরও দু’একটা আসিয়াছে। ওই যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করার সময়ের ঘটনা। একবার এক ডাক্তার এক রোগীর চিকিৎসা দিয়ে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ধাওয়া দিলে সে জান বাঁচানোর জন্য আতালিপাতালি দৌড়। কিন্তু সামনে নদী! যাক কোনোভাবে সে যাত্রায় জান নিয়ে বাড়িতে এলো। বাড়িতে এসে দেখে তার ছেলে পড়ছে। কী পড়িতেছ? বাবা, আমি ডাক্তারি বই পড়ছি। তখন বাবা বলল, পড়া বাদ দিয়ে আগে সাঁতারটা শিখে নাও! হে হে হে! এবার চীন দেশের এক করুণ কাহিনী বলি। সামন্তবাদের সময়। জমিদার তার এলাকার বড় ডাক্তারকে কল করেছে। তার একমাত্র ছেলের অসুখ ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেটা মারা গেল। জমিদার তো তার দাবি ছাড়বে না। ডাক্তারের একটা ছেলে ছিল জমিদার তাকে নিয়ে গেল! এরপরে জমিদারের মেয়ের অসুখ ডাক্তার এখানেও ফেল। ফলে জমিদার ডাক্তারের মেয়েকে নিয়ে গেল। ডাক্তার ভাবে কেন যে ডাক্তার হলাম! ছয় মাস পরে আবার কল। এবার জমিদারের বউয়ের অসুখ! রোগী দেখে এসে ডাক্তার তার বউকে বলছে, এবার জমিদারের নজর তোমার দিকে! এবার আমি পুরো এতিম হয়া যাবো হে! এখন আর ডাক্তারদের ওই অবস্থা নাই। তারা এখন দেবতা বা ভগবানের আসনে আসীন! তো করোনাময় সময়ে সবাই খুবই বিপদে। ডাক্তার নার্স কেউ এই ছোঁয়াছুঁয়ি করোনামুক্ত নয়। সবার মনেই আতঙ্ক আর ভয়। আরেকটা জোক্স দিয়ে শেষ করি। প্রবাস থেকে এসে একজন ঘরেন্টাইন না থেকে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে চলে গেল। এলাকার ওসি সর্বশেষ অবস্থান জানার জন্য তার বাড়িতে গেল। প্রবাসীর বাসার দরজার সামনে গিয়ে কল দিলেনÑ ভাই, আপনি কই? সে বলে, আমি তো আমার বাসায়। আমার কক্ষে।
দরজা খোলেন। আমি আপনার কক্ষের সামনে।
ও হো। কেমনে দরজা খুলব? সামনে তো সমুদ্র!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper