মহাকবির উপলব্ধি
নুর ইসলাম
🕐 ২:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
মহাকবি হতে ছুটলাম কয়েকটি যৌথ বই নিয়ে। রাস্তা থেকে ভেবে গিয়েছি, একটু প্রশংসা করলে তাকেই দেব এক কপি। স্কুলে গিয়ে দেখি সবাই চাই চাই করে! কাকে দেব দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। কাউকে না দিয়ে ভাবলাম স্যারকে এক কপি কাব্যগ্রন্থ দেই, সুনাম পাব। একা যেতে ভয় লাগে, প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে দিলাম এক কপি। না করলেন না, রেখে দিলেন স্যার।
চারিদিকে ফাটাফাটি। সবাই প্রশ্ন করে- তুই নাকি কবি হয়ে গেছস!
একদিন এক বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় দেখা। সে বলল, কি কবি সাহেব, কবিতা লিখে কত টাকা পান!
আমি রীতিমতো অবাক। উত্তর না পেয়ে সে আবার বলল, আমিও কবিতা লেখতাম যদি টাকা পাইতাম।
কিছুদিন পর ক্লাসে এক ম্যাডাম আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে বললেন, তুমি নাকি কবিতা লেখো
বলে দিলাম- হ্যাঁ।
কত টাকা লাভ হয়
ম্যাডাম, আমি লাভের জন্য লিখি না।
বাড়ি থেকে কী বলে
আমাকে নিরুত্তর দেখে ম্যাডাম বললেন, এটি একটি অন্ধ রাস্তা। এ সব আজেবাজে কাজ করে জীবন ধ্বংস করো না। তোমার জীবন দেখছি অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ সব ছেড়ে দাও। প্রথম বেশ ছটফট করেছি পরে কিছুই বলতে পারিনি। হা করে তাকিয়ে ছিলাম। তখন বোধহয় দু’একটা মাছিও মুখের ভেতরে ঢুকেছিল। সুযোগের সদ্ব্যবহার সবাই করে!
একদা এক স্যার হুট করে বলে উঠলেন, কবিদের ভিক্ষা ছাড়া পুঁজি নেই!
তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কবিগিরি বাদ দেব। আবার মনে পড়ল, ভালো কাজে প্রথমে কেউ ভালো বলে না। পরিচিত হয়ে গেলে সবাই ভালো বলে। আমিও ভেবেছিলাম অনেক লোকে হিংসা করবে ঠিক তাই হলো!
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228