ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুর্র্ধর্ষ গোসলকাহিনী

মাহবুব নাহিদ
🕐 ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৬, ২০২০

সকালে চোখ খুলে দেখি বাইরে ঘন কুয়াশা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শরীর লেপ থেকে বাইরে বের করা মাত্রই যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে। তাই লেপ থেকে বের হয়ে আসার উচ্চমাত্রার সাহস দেখানো ছিল তীব্র ভয়ংকর। তবুও কিছু করার নেই, অফিসে যেতে হবে। এখন উঠতে হবে আর গোসল করতে হবে। যেই লেপ থেকে বের হলাম, মনে হলো যেন হিমালয় পর্বতের বরফ শুভ সকাল জানাল।

শরীরের মধ্যে তীব্র এক আলোড়ন তৈরি হলো। জাপানের ঐতিহাসিক ভূমিকম্পে আমার শরীরেও ভূমিকম্প শুরু হলো। আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে বুকে সাহস নিয়ে বাথরুমের দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। ঠিক যখন আমি দরজাটা খুললাম তখনই এক রাউন্ড প্রবল ও তীব্র ঠাণ্ডার বুলেট আমার দিকে ধেয়ে এলো।

আমি সপাং করে একটি লাফ দিয়ে পড়লাম বাথরুমের মেঝেতে। তারপর গেরিলা স্টাইলে আস্তে আস্তে হামাগুড়ি দিতে দিতে এগিয়ে গেলাম ঝর্ণার ট্যাপের দিকে। ট্যাপের দিকে আগাচ্ছি আর ভাবছি যে, এ ঝর্ণা কোনো গোসলের ট্যাপ নয়, এটা ঝর্ণা নামের একটি মেয়ে। কিন্তু যা বলা বা ভাবা হয় তা তো আর হয় না। ঝর্ণা আমায় দেখেই ঢাল তলোয়ার ল্যাঞ্জা, খোন্তা, কুড়ালসহ বিভিন্ন দা বঁটি নিয়ে প্রস্তুত হয়ে গেল।

এবার আমিও সরাসরি অ্যাকশনে চলে গেলাম। আর কোনো ছাড় নয়। যা হওয়ার সরাসরি হবে। কোনো ডানে বামে তাকানো নয়, অ্যাকশন মানে অ্যাকশন। এবার ধরে ফেললাম ঝর্ণার ট্যাপ। এই প্রথম যুদ্ধে দুই প্রতিপক্ষ একই ক্যাম্পে অবস্থান করছে। আর ছাড়াছাড়ি নয়, কল বাবাজিকে দিলাম ঘুরিয়ে। কিন্তু যেভাবে যুদ্ধ শুরু করল তাতে আর কুলাতে পারলাম না। তার শীতাস্ত্রের অবিরত হামলায় জর্জরিত হয়ে গেলাম।

নিজে কোনো ধরনের আক্রমণের কোনো সুযোগ নেই, শুধু আত্মরক্ষার সামান্য চেষ্টা করা যায়। যদিও তাতে আত্মরক্ষা তাতে মোটেও হয় না। কিছুক্ষণ পর আঘাতে জর্জরিত হয়ে হার স্বীকার করে যুদ্ধের ময়দান থেকে আত্মসমর্পণ করে এলাম।

ট্যাপ বন্ধ করে আঘাতে জর্জরিত হওয়া ক্ষতস্থানগুলো থেকে রক্ত বের হতে লাগল আর তা গামছা দিয়ে মুছতে মুছতে পরাজিত সৈনিকের মতো ফিরে এলাম!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper