ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাংলিশ রঙ্গ

আলম তালুকদার
🕐 ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

যেহেতু ইংরেজি নিউ ইয়ার নিয়ে এবারের রঙ্গ, সেহেতু বাংলা ইংরেজি জগাখিচুড়ি মিলে বাংলিশ ভাষায় আমার এই রঙ্গ কথা চলবে। যাদের নাম হ্যাপি তারা এই নিউ ইয়ারে খুবই লাকি! তাদের নাম কোটি কোটি মানুষ উচ্চারণ করবে!

এক ধনী ব্যবসায়ীর স্ত্রী নিউ ইয়ারে একটা দামি উপহার দাবি করলে, রসিক এবং নির্মম স্বামী বলেছিল, ‘ডার্লিং, তোমাকে গত বছর যে উপহার দিয়েছিলাম তুমি তো সেটার ব্যবহার করতে পারোনি। সেটা ব্যবহার হোক।’

স্ত্রী বলল, ‘তুমি আমাকে বিদায় করতে চাও, তাই না? কিন্তু আমার কই মাছের প্রাণ। সহজে যাবে না জান।’

প্রিয় পাঠক, বলেন তো স্বামী তাকে কী উপহার দিয়েছিলেন? নিউ ইয়ারে ইংরেজি বলতেই হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ওটা ইংরেজদের বাবাইতা ভাষা। তো ইংরেজি যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা কম-বেশি সব দেশের লোক এটা জানার চেষ্টা করে থাকেন। আরও একটা জোকস আসছে। বিল ক্লিনটন একবার তার সময়ে জাপান ভিজিটে গেলেন। বিমানবন্দরে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানাবেন।

এই জন্য তাকে একটা ইংরেজি বাক্য মুখস্থ করানো হলো। হ্যান্ডশেক করে বলবেন, ‘হাউ আর ইউ’। কিন্তু যথাসময়ে তিনি আসল কথাটি ভুলে গিয়ে বললেন, ‘হু আর ইউ’? রসিক ক্লিনটন বিষয়টি মালুম করে জবাব দিলেন, ‘আই এম হাজবেন্ড অব হিলারি ক্লিনটন’! হা হা হা।

এত শীত তাও জমছে না? জমবে, সবুর করেন জমাইতেছি। এক স্ত্রীর একমাত্র স্বামীর বই পড়ার নেশা। বাসায় যতক্ষণ থাকে শুধু বই পড়ে সময় কাটায়। বেচারিকে একটু আদর সোহাগও করে না। এতে বউ বইয়ের ওপর খুবই চটা। ছুটির দিনে দুপুরে খেয়ে বই নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ছে। তা দেখে বেচারি আফসোস করে বলছে, পরজনমে সৃষ্টিকর্তা যেন বই করে পাঠান।

কিছু না হলেও স্বামীর বুকের ওপর থাকা যাবে। তো এই কথা আবার স্বামীপ্রবর শুনেছেন। তিনি স্ত্রীর কথা শুনে বলল, হা, তাতে আপত্তি নেই। বই হয়েই আবার কাছে আসিও, তবে কিন্তু পঞ্জিকার বই হইয়া আসিও! কিমুন ইইল? জমেনি, জমিবে জমিবে। একটু সবুর করেন। রাত বারোটার পর এক ছেলে বনপথে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ এক দৈত্য হাজির। সে ছেলেটাকে বলল, নিউ ইয়ারের বোনাস বর দিচ্ছি। তুমি কী চাও?
-সত্যি যা চাই তাই পাব?

-অবশ্য।
-তাহলে আমাকে এমন একটা বিশেষ ট্রেন দিন, যে ট্রেনে খুব দ্রুত সারা বিশ্বের নিউ ইয়ারের আয়োজন আমি উপভোগ করতে পারি।
-এটা সম্ভব নয়। অন্য কিছু বর চাও।
-তাহলে আমাকে এমন বিদ্যা দিন যাতে মেয়েদের মন বুঝতে পারি।
-তা তোমার ট্রেন এসি না নন এসি?

জমছে? জমেনি? তা হলে আরও সবুর করিতে হইবে। বুঝিতে পারিয়াছি। মনের খুঁতখুঁতানি যায় না! আবার একটা আইছে। দেখি কী হয়? সেই ব্রিটিশ আমলের কথা। চৈত্র মাস। প্রখর রোদ। এক মুরব্বি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। বেশ নূরানি নূরানি চেহারা। তো থানার দারোগা ঘোড়ায় ওই পথ অতিক্রম করছে। তাকে পাস করে এক মোড়ে গিয়ে ভাবল, একজন বৃদ্ধ মুরব্বি রোদে ঘামছে।

তার যখন ছাতা আছে তখন ছাতাটা দিয়ে তাকে একটা উপকার করা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ। দারোগা বাবু ঘোড়া ঘুরিয়ে লোকটা কাছে এসে ছাতাটা তার হাতে দিলেন। লোকটা হতভম্ব! দারোগা তার ছাতা না চাইতেই দিয়ে দিলেন।

আশপাশের লোকজন খুব কৌতূহল নিয়ে বিষয়টা দেখছে। তো দারোগা তো ঘোড়া নিয়ে বেশ দূরে। লোকটি ভাবছে ঘোড়াটা যদি দিত তাহলে আরও ভালো হতো। মনে করলেন, না চাইতেই ছাতা, চাইলে ঘোড়াটা অবশ্য দেবেন। তাই তিনি দারোগা বাবু দারোগা বাবু বলে চিৎকার করে ডাক দিলেন। দারোগা ডাক শুনে আবার ফিরে এলেন। লোকজন খুব অবাক হয়ে দেখেছে। তারা কিছুই বুঝতে পারছে না।

দারোগা বাবু কাছে এলে তিনি ঘোড়াটা চাইলেন। তার কথা শুনে ছাতাটা দিতে বললেন, ছাতাটি হাতে নিয়ে উল্টো ঘুরতে বললেন, ঘুরলে পাছায় ছাতা দিয়ে একটা বাড়ি দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে দিলেন। এই কাণ্ড দেখে আশপাশের লোকজন তার কাছে এসে বিস্তারিত জানতে চাইল। বৃদ্ধ লোকটি বলল, না তেমন কিছু না, খুঁতখুঁতানি তো গেল, তাই না! আমার মনে আর কোনো খুঁতখুঁতানি নেই।

এরপরও যদি জমেনি বলে খুঁতখুঁতানি মনে জাগে তাহলে এক কাজ করে দেখতে পারেন। নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করার জন্য এবং জমানোর জন্য ছাদের ওপর গিয়ে দিগম্বর হয়ে দুই ঘণ্টা চাঁদের আলো খাবেন। দেখবেন কেমন জমা জমে! যদি না জমে তাহলে একটা সত্য কথা উচ্চারণ করবেন।

সবাইকে বলবেন, ‘আমি একটা সত্য কথা বলি, আমি হলফ করে বলছি, বাপ-দাদার চৌদ্দগোষ্ঠীর শপথ নিয়ে বলছি, আপনারা কইলাম কেউ বাঁচবেন না, সবাই মইরা যাবেন, মগর আমিও থাকব না। যারা থাকার তারাই থাকবে। তাও জমেনি? তাহলে নিজেরা জমাইয়া আমাকে দয়া কইরা মাফ কইরা দিন। জমাইতে আসিব না আর কোনোদিন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper