পেঁয়াজ-লবণের প্রেম
মাহবুব নাহিদ
🕐 ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
লবণ কিছুদিন হয় এই পাড়ায় বেড়াতে এসেছে। এখনো হাবভাব বুঝে উঠতে পারেনি। হাবভাব ভালো বুঝলে এখানে থেকেও যেতে পারেন বলে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হলে এখানকার একটা ছেলের সঙ্গে বিয়ে হলে মন্দ হতো না। কিন্তু কারও চোখে তো পড়তে হবে। চোখে পড়ার মতো চেহারা তার আছে। কী সুন্দরী দেখতে, ধবধবে সাদা গায়ের রঙ।
একদিন ঠিকই নজরে পড়ে গেল পেঁয়াজ নামের একটি ছেলের সঙ্গে। ছেলেটাও দেখতে দারুণ। দেখেই প্রেমে পড়ার মতো। প্রেমে তারা পড়েও গেল। একে অপরের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক! সম্পর্ক তো আর শুধু সম্পর্কে থাকে না; জল গড়িয়ে যায় বহুদূরে। একজন আরেকজনকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না। পেঁয়াজের স্বপনে জাগরণে লবণ। লবণেরও তাই। এই প্রেমের জল গড়িয়ে যায় বহুদূর। তরকারির কড়াই থেকেই শুরু করে ভাতের প্লেট কিছুই বাদ রাখে না তারা। সব জায়গায় নিজেদের রাজত্ব। এই রাজত্বের রাজা পেঁয়াজ আর রানি লবণ। তারা গান গায়- তু মেরা রাজা মে তেরা রানি হে।
যত গানই গাক না কেন, বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত শান্তি নেই। তাই বিয়ে হওয়া খুবই জরুরি। লবণের বাড়িতে প্রস্তাব দিয়েছে পেঁয়াজের পরিবার। পেঁয়াজ এমন প্রতিষ্ঠিত পাত্র বিয়ে দিতে আপত্তি নেই লবণের বাবার। বিয়ের দিন-তারিখ সব ঠিকঠাক। হঠাৎ পুলিশ এসে হাজির। লবণের বিয়ের নাকি বয়সই হয়নি! তার বাবা বয়স বেশি বলে গুজব ছড়িয়েছে। বিয়ে না হওয়ায় আপাতত বিরহ তাদের। বয়স বাড়িয়ে যদি লবণ আসতে পারে ঠিকই তাকে গ্রহণ করবে পেঁয়াজ। বেশি সুন্দরী কাউকে পেলে অপেক্ষা না-ও করতে পারে!
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
