ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্ড

শিমুল শাহিন
🕐 ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯

সকালের ঘুমটা ভাঙল বসার ঘরে কয়েকজনের গল্পের আওয়াজে! বিরক্ত হলেও করার কিছুই নেই। গ্রামের লোকজন এসেছে বড় ভাইয়ার কাছে! বড় ভাইয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার! বিছানা থেকে উঠে বসার ঘরে ঢুকতেই দেখলাম গ্রামেরই পরিচিত কয়েকজন মহিলা বসে গল্প করছে! আমাকে দেখেই একজন বলে উঠল, ‘বাপ মবিন, সেই কখন থেকে বড় ভাতিজার লাগি বসে আছি, খবর নাই!’

চোখ কচলাতে কচলাতে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন চাচি, কোনো কাজ আছে?’

উনি বললেন, ‘হ্যাঁ বাপ। একখান জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্ড নেওন লাগব! ভাতিজারে কয়ে রাখসিলাম!’

চাচির কথা শুনে অবাক হলাম! জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কার্ড লাগে তা তো কখনো শুনিনি! অবশ্য দেশের প্রায় সবক্ষেত্রেই এখন আধুনিকায়ন হচ্ছে, সরকার অনেক নতুন নতুন পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে- জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্ড হয়তো সেসব উন্নয়নেরই একটা অংশ! জন্মনিয়ন্ত্রণে কার্ড ব্যবস্থা হয়তো চালু হয়েছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই! ভাইয়াকে ফোন দিলাম, কিন্তু কেটে দিল। তার অফিস ঘর, শোয়ার ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্ড খুঁজে না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভাবির দ্বারস্থ হলাম! ভাবি রান্নাঘরে ছিলেন। বললাম, ‘ভাবি, পাশের পাড়ার রোজিনা চাচি জন্মনিয়ন্ত্রণের কার্ড নিতে এসেছে। আমি খুঁজে পেলাম না!’

ভাবি আমার কথা শুনে হাসতে লাগলেন। হাসির কারণ বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হাসছ কেন? হাসির কী বললাম!’

ভাবি আমার কথার উত্তর না দিয়ে বলল, ‘আলমারির প্রথম তাকে দেখো। তোমার ভাই রেডি করে রেখে গেছে!’

আলমারি খুলে কাগজটা হাতে নিয়ে চোখ বুলোতেই হাসির কারণ বুঝতে পারলাম! কার্ডটা জন্মনিয়ন্ত্রণের নয়; রোজিনা চাচির ছেলের জন্মনিবন্ধন কার্ড!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper