ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ

গোলাম মোর্তুজা
🕐 ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯

চুলচেরা বিচার-জোটে না কপালে সবার। সবাই করে রাত দুপুরেও চুলচেরা হিসাব। এ আজব দেশে কিছু আজগুবি কা- কারখানা হলে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে। অতঃপর কিছুদিন চলে সে কাজের হিড়িক- সুরের পিনিক।

ছেদাম চুলবান্ধা (সবাই চুল খোলা রাখে তাই এমন নাম) গ্রামের একজন সচেতন একলা নাগরিক। গ্রামবাসীর বিশেষ করে যুবকদের চুল সম্পর্কীয় যাবতীয় সমস্যা সমাধানের একমাত্র হৃদয়বান ব্যক্তি। ও দুর্দমনীয় বাবার তিন বিঘা জমি বিক্রয় করিয়ে ব্যবসার লিখেছে প্রবন্ধ। ছেদাম গুদাম ভরে রাখল মাল-সামানা। দেশের অনটনে আর অভাবে বিক্রয় করে লাভ করবে একটানা। বাবাকে বলল, ‘আর ক’টা দিন তো চিন্তা করো না, শোরুম করব দিয়েছি বায়না।

ব্যবসা চলছে রমরমা, অনেক কিছুই কিনেছেন গ্রামের খানসামা। একদিন সূর্যজাগা সকালে ছেদামের কাছে আসে এক যুবক। বলে, ‘ভাই, পিদিম চাচার চুল পাকলেও বুদ্ধি পাকল না। আবার আরেকখান চাচিরে লইয়া বান্দা হাজির। কী করণ যায়। আমাগো চুল ঝইরা যায়। ডর লাগে বৌ যদি যায় আগে- ভেগে। যুবকের কথায় ছেদামও ছটফটায়। বিয়ে যে হয়নি তারও।

ক্যাপ খুললে ফাঁকা মাঠসম। ছেদাম মাথার ক্যাপ, ঠিক করে ম্যাপ। বলল, ‘আচ্ছা দেখছি। তবে মাথায় নারকেল তেল দিবি। বাজারে গিয়ে আনবি বেল আর খাবি কদবেল। বিয়ে করে নে। চাকরি না হলে কী করবি। বিয়ে বরলে তবুও একদিক দিয়ে এগিয়ে থাকলি।’ ছেদামের কথায় যুবকটি প্রাণ ফিরে পায়।

যুবকের চুল নিয়ে ভাবনা আর করে না। ছেদামের মন ঘোরে ভনভন। কিছুদিন আগেও বিয়ে করতে গিয়েছিল। মাথায় তখন নকল চুল ও ক্যাপ ছিল না। হবু বৌ জাতকুলমান সব চিবিয়ে খেল। বলল, ‘মাথায় টুকটাক টাক, ফাঁকা ফাঁকা মাঠ। সবাই দেখে ঠাঁটবাট। বিয়ে করব না- স্বামী চলবে না।’ সেদিনই ছেদাম বিরহে কাত হয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper