দুর্নীতিবাজের সাক্ষাৎকার
তাজুল ইসলাম
🕐 ৫:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৫, ২০১৯
আপনি নাকি ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না?
কথাটা মোটেই ঠিক না। আমি অনেক সৎ একজন কর্মকর্তা। তবে এটা সত্যি, কেউ যদি জোর করে কিছু দেয় তাহলে না করতে পারি না!
শুনলাম, স্বল্প টাকা বেতন পেয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা খরচ করে আপনার সন্তানকে বিদেশে লেখাপড়া করাচ্ছেন?
আপনি জানেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। আসলে আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে তাকে বিদেশে লেখাপড়া করাচ্ছি।
সেটা না হয় মানলাম। কিন্তু আপনি নাকি অনেক দামি গাড়িতে চলাফেরা করেন? এত টাকা দিয়ে গাড়ি কিনলেন কীভাবে?
আমার স্ত্রীর গায়ের ওজন ১২০ কেজি। সে আবার খুব একটা হাঁটতে পারে না। গরিব মানুষ বলে কি অসুস্থ মানুষের জন্য একটা গাড়িও কিনতে পারব না?
আপনার নাকি গুলশানে বাড়ি আছে?
আসলে থাকার কোনো জায়গা নেই বলে মানুষ দয়া করে চাঁদা তুলে আমার থাকার মতো একটা ঘর করে দিয়েছে।
ধানমন্ডি-বনানীর বাড়ি দুটির ব্যাপারে কী বলবেন?
আসলে আমার বাবা-মা দুইজনই অনেক বয়স্ক মানুষ। একটু ভালো বাড়িতে না থাকলে তাদের খুব কষ্ট হয়। আর ছোট ভাই বউ-বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছে। তাই অনেক কষ্ট করে বাবা-মাকে রাখার জন্য বনানীতে আর ভাইকে ধানমন্ডিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
গ্রামে নাকি আপনার কয়েকশ বিঘা জমি আছে!
জমিগুলো আসলে গ্রামের হতদরিদ্র কৃষকদের জন্য। তারা চাষাবাদ করে খায়, সংসার চালায়। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজসেবার অংশ হিসেবে জমিগুলো কিনেছি।
আপনার সব কথাই কেমন জানি অস্বাভাবিক লাগছে। আচ্ছা, আপনি পেয়েছিলেন কীভাবে?
আমি ছিলাম অনেক দরিদ্র। সারা জীবন তেমন ভালো লেখাপড়া করতে পারিনি। আমার এ খারাপ অবস্থা দেখে চাকরিদাতা দয়া করে চাকরিটা দিয়ে দিলেন।
তিনিও নিশ্চয়ই আপনার মতো দরিদ্র ছিলেন? চাকরি পাওয়ার সময় কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেননি?
জি, তিনি আমার চেয়েও অনেক দরিদ্র ছিলেন। চাকরি পাওয়ার সময় তাই কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করাটা আমার কর্তব্য ছিল। বুঝতেই পারছেন, মানুষ মানুষের জন্য!
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228