অজুহাত!
রনি রেজা
🕐 ১:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
প্রেমিকা : এ সপ্তাহে আমাকে চাইনিজে খাওয়ানোর কথা ছিল। নতুন একটা আইফোনও দিতে চেয়েছিলে। সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখানো, শপিংয়ে নেয়ার কথা তো বাদই রাখলাম। আর এখন এই সস্তা গোলাপ আর একটা আইসক্রিম নিয়ে হাজির! পারো কীভাবে? তোমার মতো চাপাবাজের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই। ব্রেকআপ।
প্রেমিক : বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করতে কেবল বড়রাই পারেন। দেখ না, যে যত বড় নেতা সে তত বড় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এটা বড় নেতা হওয়ার লক্ষণ। আর একবার নেতা হতে পারলে তোমার কোনো চাওয়াই অপূর্ণ থাকবে না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হলেও সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখা উচিত।
স্ত্রী : তোমার সঙ্গে সংসার করতে গিয়ে আমার জীবনটা ত্যানা ত্যানা হয়ে গেল। বিয়ের পর থেকে কোন সখটা পূরণ করতে পেরেছ আমার? পাশের বাসার ভাবি প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন শাড়ি কেনে। গহনা কেনে। নামি-দামি শপিং থেকে কেনাকাটা করে। আর আমি...।
স্বামী : নির্বাচনী জোটগুলোর দিকেও একবার তাকাও। দেড়শ’ আসন চেয়েও কীভাবে মাত্র তিনটিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় শেখো। নির্বাচন তো শুধু ভোট দেওয়ার জন্য নয়। কিছু শিখতেও হয়।
শিক্ষক : এত দেরি করে এলে কেন?
ছাত্র : স্যার আমি তো ভালো ছাত্র, তাই ভাবলাম একটু দেরি করেই যাই। ঠিক সময়ে এলে তো আর দাম থাকে না। অনুষ্ঠানগুলোতে দেখেন না- যে যত দামি অতিথি সে তত দেরি করে আসে!
পথচারী : মানুষের কাছে হাত পাততে লজ্জা করে না? কাজ করে খাও, এতে গর্ব আছে।
ভিক্ষুক : হাত পাততে লজ্জা করবে ক্যান? বড় বড় নেতারাও তো হাত পাতেন। তারা ভোটের জন্য হাত পাতেন আর আমরা টাকার জন্য। যার যেটা অভাব। আর অভাবকে খাটো করে দেখবেন না। নির্বাচনী ইশতেহারে দেখবেন- বড় বড় নেতাদেরও সম্পদ বলতে কিছুই নেই। তারাও গরিব!
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228