ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নরেনদার বাহাদুরি

সাজ্জাদ সাজু
🕐 ৪:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৬, ২০১৮

নরেনদা গেলেন ডাকাত ধরতে। অফিসার তার সঙ্গে একজনকে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু ভুঁড়িতে হাত বুলিয়ে নিজেকে দাবাং সালমান খান ভাবা নরেনদা বলে বসলেন, এমন দুই-চারজন ডাকাতের জন্য এ নরেন একাই কাফি। যা হওয়ার তাই হলো। ডাকাত পালিয়েছে।

নরেনদার চাকরি যায় যায়। অফিসার নরেনদাকে ডেকে বললেন, এ ডাকাত ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা ছিল, এ জন্য আমার প্রমোশন আটকে আছে। যেখান থেকে পারো ডাকাত খুঁজে আনো।

নরেনদা এবার উৎসাহ নিয়ে বললেন, সব অপরাধীই পালানোর আগে কিছু না কিছু চিহ্ন রেখে যায়। ডাকাতের আঙ্গুলের ছাপ আছে আমার কাছে।
অফিসার ব্যস্ত হয়ে জানতে চাইলেন, কোথায়! কোথায় সে আঙ্গুলের ছাপ?
নরেনদা গাল এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘এই যে স্যার আমার গালে।’

দুই
নরেনদার বউও পুলিশ। নরেনদার মতো তার ভুঁড়ি নেই, সুশ্রী ও স্লিম। একদিন নরেনদার বউ গেছেন আসামি ধরতে। অতঃপর ছেঁড়া ইউনিফর্ম আর বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে হন্তদন্ত থানায় হাজির হলেন। অফিসার সহানুভূতির সুরে বললেন, কী দরকার ছিল এত চেষ্টার, সামান্য ইভটিজিং কেসের আসামিই তো নাকি? ছেড়ে দিয়ে আসতেন।
নরেনদার বউ এক জগ পানি খেয়ে বললেন, স্যার আমি তো আসামি ছেড়েই দিয়েছি, কিন্তু আসামিই তো আমায় ছাড়ে না!

তিন
এবার নরেনদা আর একা আসামি ধরতে যান না, একজনকে সঙ্গে রাখেন। এ যাত্রায় সফলতার সঙ্গে একজন আসামি ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, কাল রাতে দুজন পুলিশ মাতাল অবস্থায় তোমাকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছে। কথাটা কি সত্যি?
আসামি বলল, জি হুজুর, আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল, দুজন পুলিশই মাতাল ছিল।

চার
নরেনদার ডিমোশন হয়েছে, দায়িত্ব পড়েছে এক ভিআইপির পরিবারের বডিগার্ড হিসেবে থাকার। ভিআইপির ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করতে যাচ্ছেন, সঙ্গে নরেনদা। এবার সে ছেলে নরেনদার পকেটে একটা এক হাজার টাকার নোট গুঁজে দিয়ে বলল, আজ মলির সামনে আমার ভাবমূর্তিটা একটু বাড়াতে হবে, পরিস্থিতি বুঝে আমার সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে বলবেন, আপনি তো পুলিশের লোক আপনার কথা বিশ্বাস করবে, কারণ পুলিশ কারও প্রশংসা করে না। বহু দিন পর বেতন ছাড়া এমন কড়কড়ে হাজার টাকার নোট! নরেনদা রাজি হয়ে গেলেন।
মলি বলল, ভাইয়া, আপনার ফোনটা তো সুন্দর! এটা আইফোন ৮ প্লাস না?

ছেলেটি বলল, এ আর এমনকি! এমন আরও দুইটা বাসায় আছে। এ সময় নরেনদা বলে উঠলেন, কী বলেন ম্যাডাম, ওনার বাবার রাজারবাগে দুই-দুইটা আইফোনের ফ্যাক্টরি আছে।

ছেলে দেখল বড্ড বেশি হয়ে যায়, তাই থামানোর জন্য মৃদু কাশি দিল। তা দেখে মলি বলল, আপনার কি ঠাণ্ডা লেগেছে?
ও কিছু না। সামান্য কাশি।
এ সময় নরেনদা বলে উঠলেন, কী বলেন ম্যাডাম, কাশি কী, ওনার যক্ষ্মাও আছে!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper