ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খুলনার ডুমুরিয়ায় সার সংকট, সংকটে কৃষক

খুলনা ব্যুরো
🕐 ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০২, ২০২২

খুলনার ডুমুরিয়ায় সার সংকট, সংকটে কৃষক

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই ইউরিয়া, ফসফেট,পটাশ সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। কৃষকরা তাদের জমিতে সার দিতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এদিকে ইরি-বোরো মৌসুমে সার সঙ্কটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়া এবং ফসলও নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলায় এখন সারের জন্য হাহাকার চলছে। কৃষকরা সারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে সার ডিলারদের দোকানে। কৃষকরা অতিরিক্ত মূল্য দিয়েও সার কিনতে রাজি, কিন্তু তাও মিলছে না সার। এমনকি খোলাবাজারে বিক্রি না হওয়ায় অনেক কৃষক হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন খালি হাতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি মূল্য অনুযায়ি প্রতি কেজি ফসফেট ২২ টাকা, পটাশ ১৫ টাকা, ড্যাফ ১৬ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলার খর্ণিয়া এলাকার সাব ডিলাররা ফসফেট করছে ২৮/৩০ টাকা, পটাশ ২২/২৫টাকা, ড্যাফ ২০ টাকা, ইউরিয়া ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।

খর্ণিয়া এলাকার কৃষক আব্দুল কুদ্দুস সরদার জানান, চাহিদা অনুযায়ি সার পাচ্ছিনা। কয়েকদিন ধরে অপেক্ষার পর মাত্র ১ বস্তা সার মিলাতে পেরেছি। উপজেলার টিপনা গ্রামের কৃষক মাসুদ শেখ, মিঠু সরদার, মুক্তা শেখ,খর্ণিয়া এলাকার জাকির হোসেন, আব্দুল রশিদ গাজী, নিছার সরদার কৃষক নজরুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক দাম বেশি নেওয়ার কথা বলেন সারের দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ৪নং খর্ণিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, আমি ২/১ জন কৃষকের কাছে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে যদি দাম বেশি নেয়া হয় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা খর্ণিয়ার ডিলার বা সাব ডিলারদের দাম বেশি না নেওয়ার জন্য বলেছি। তার পরও অনেক ডিলার বেশি দামে সার বিক্রি করছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

 
Electronic Paper