থাই বারোমাসি আম চাষে সাফল্য
কৃষি ডেস্ক
🕐 ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
থাই বারোমাসি আম চাষে সফল হয়েছেন জীবননগরের নার্সারী মালিক আবুল কাশেম। গাছে বারো মাস ধরে এ আম। এ জন্য এ আমের নাম থাই বারোমাসি আম। আবুল কাশেম ২২ বিঘা বাগান হতে এবার অসময়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন।
আবুশ কাশেম জানালেন, তার এক ব্যবসায়ী নিকট আত্মীয় ৬ বছর পূর্বে থাইল্যান্ডে যান সফরে। সেখানে তাদেরকে একটি আম বাগান পরিদর্শনে নেওয়া হয় এবং ওই বাগান হতে পাকা আম পেড়ে খেতে দেয়া হয়। সুমিষ্ট ওই আম খেয়ে ভালো লাগে সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী নূর ইসলামের। তিনি বাগান হতে গাছের একটি ডাল ভেঙে ব্যাগে নেন।
দেশে ফিরে ওই ডগাটি নার্সারী মালিক আবুল কাশেমকে দেন চারা তৈরির চেষ্টা করার জন্য। সেই ডগা থেকে চারা তৈরি করে সে সময় সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আবুল কাশেম। পরের বছর ওই গাছে ৮-১০টি আম ধরে। একে একে তিন বার আম ধরে গাছটিতে। পাকা আম খেতে স্বাদ ও গন্ধে অত্যন্ত সুমিষ্ট হওয়ায় কাশেম উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই চারা থেকে আবার কলম চারা তৈরী শুরু করেন।
তিনি জানান, কলম চারা দিয়ে অবুল কাশেম উপজেলার বাঁকা গ্রামের মাঠে ২২ বিঘা আমবাগান গড়ে তুলেছেন। ২ হাজার ২০০ গাছ রয়েছে তার বাগানে। বাগানের বয়স এখন ৪ বছর। তার নার্সারীতে বিক্রির জন্য রয়েছে পর্যান্ত থাই বারোমাসি আমের চারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, জাতটি আমাদের দেশে নতুন। আবুল কাশেমই এটি তৈরি করেছেন। এটি দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য একটি জাত। এ আম খেতে অত্যন্ত সুমিষ্ট। ঘ্রাণও সুন্দর। আমের খোলার নিচের অংশ খুব শক্ত হওয়ায় ঘরে অনেক দিন রেখে খাওয়া যায়। এ আম চাষে কৃষক লাভবান হবেন বলে তিনি অশা করছেন।