গাংনীতে সৌদি খেজুর চাষ
লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা
🕐 ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
পুষ্টিকর ফল খেজুর। প্রাকৃতিক শক্তির উৎসও বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। প্রতিদিন সকালে ৩-৪টি খেজুর খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা কনসিটপেমন বা কোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য এই ফলটি মহৌষধ। মরু অঞ্চলের এ ফলের ঔষধিগুণ ও স্বাদ, দুই কারণেই এটি জনপ্রিয়।
খেজুর ভিনদেশি ফল হলেও এখন মাগুরায় চাষ হচ্ছে। সদরের কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামের উদ্যোক্তা কাজী ইজাজুল হক রিজু ও স্কুল শিক্ষক কাজী মহিদুল হক গোটা গাংনী গ্রামকে এখন ড্রাগন ফলের গ্রামে পরিণত করছেন। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তারা সৌদি খেজুর-মরিয়ম, খালাস, মল্টা, কমলা, থাই পেয়ারা, বল সুন্দরী ও কাশমেরি আপেল জাতের কুলের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছেন।
শুরুটা করেছিলেন ২০১৮ সালে মাত্র ১৫০০ ড্রাগন ফলের গাছ দিয়ে। এখন ১০ একর জমিতে ড্রাগন গাছ আছে ১০ হাজার। গাংনী গ্রামের বেস্ট এগ্রো ফার্মসে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির একশর মতো সৌদি খেজুরের গাছ রয়েছে। আর এবারই তাতে প্রথমবারের মতো ফলন এসেছে।
স্কুল শিক্ষক কাজী মহিদুল হক বলেন, শুরুটা হয়েছিল ১৫০০ ড্রাগন ফল দিয়ে। ড্রাগনের পাশাপাশি পরের বছরে কিছুসংখক সৌদি খেজুরের চারা লাগাই। গাছ লাগানোর তিন বছরের মধ্যেই গাছে ফুল, ফল আসতে শুরু করেছে। আমরা এ পর্যন্ত খেজুর চারা তৈরি করেছি ১৮৫টা। প্রতিটি চারা পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে জাতভেদে বিক্রি করা হয়। খেজুর চারা মূলত বোগ থেকে তৈরি করা হয়। অনেকটা কলা গাছের মতো। খেজুরের পাক আসতে শুরু করেছে। এটি কাঁচাও খাওয়া যায়। খেতে খবুই সুস্বাদু। অনেকেই ফল আসা দেখে খেজুর চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আগামীতে আরও বেশি খেজুরের চাষ করব।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, খেজুর একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি ফল। গাংনী গ্রামের কাজী মহিদুল হক ড্রাগন ফলের পাশাপাশি সৌদি খেজুর চাষ করেও সফলতা পেয়েছেন। তিনি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকবার বেস্ট এগ্রো ফার্মস পরিদর্শন করেছি। কৃষি অফিস থেকে আমরা তাকে বিভিন্ন পরার্মশ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।