ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাণীনগরে মৌসুমের শুরুতেই আমন ধান রোপনে ব্যস্ত চাষীরা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২১

রাণীনগরে মৌসুমের শুরুতেই আমন ধান রোপনে ব্যস্ত চাষীরা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় মৌসুমের শুরুতেই আমন ধান রোপনে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন চাষীরা। এবার বড় ধরনের বর্ষণ কিম্বা উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসার আগেই তরি ঘরি করে জমি চাষ, রোপন থেকে শুরু করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ধান চাষীরা। কৃষি বিভাগ বলছেন ইতি মধ্যে উপজেলা জুড়ে প্রায় ৭৮০ হেক্টর জমির ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৮ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে আতব, ব্রি ৯৫, বিনা ১৭, স্বর্ণা ৫, ব্রি ৭১, ব্রি ৭৫, ব্রি ৪৯ সহ বেশ কয়েকটি জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেউ জমিতে হাল চাষ করছেন, কেউবা জমির আইল কাটছেন, আবার কেউ বিছন তুলে ধান রোপনে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। কৃষকরা আসা করছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার জমিতে ধান ভাল হবে। তারা বলছেন, প্রতি বছর ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বন্যার পানিতে এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এবছর সেই বেড়িবাঁধ সংস্কার করার কারনে বন্যার আশংকা কম বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে চলতি মৌসুমে সুষ্ঠু ভাবেই ধানের আবাদ ঘরে তুলতে পারবেন এমনটায় স্বপ্ন কৃষকের চোখে।

উপজেলার কালীগ্রামের খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সরকাটিয়া গ্রামের শাজাহান আলী, জলকৈ গ্রামের গৌতম চন্দ্র সহ আরো অনেক কৃষকরা জানান, গত বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বেশ ভাল ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম খুব ভাল পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছেন তারা। এবার মৌসুমের শুরুতেই আমন ধান রোপন শুরু করেছেন। বড় ধরণের বর্ষা কিম্বা উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জমি তলে যাওয়ার আগেই তরি ঘরি করে ধান রোপন করছেন।

কৃষকরা আরও জানান, যে কোন সময় পানিতে জমি তলে গেলে ধান লাগানো মস্কিল হয়ে পরবে। এছাড়া বর্তমানে জমিতে যে পরিমানে পানি রয়েছে তা ধান রোপনের উপযুক্ত। আবার দীর্ঘ অনাবৃষ্টি শুরু হলে জমির পানি শুখে গেলে ধান রোপনে বিরম্বনায় পরতে হবে। তাই মৌসুমের শুরুতেই তরি ঘরি করে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষীরা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, গত বোরো মৌসুমে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপন করেছিলেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন এবং বাজারে দাম ভালো থাকায় বেশ লাভবান হয়েছেন। এ মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ১৮ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৭৮০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আসা করছি আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ধান রোপন সম্পন্ন হবে।

 
Electronic Paper