ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সোনালী আঁশে স্বপ্ন পূরণের আশা কৃষকের

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ২:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২১

সোনালী আঁশে স্বপ্ন পূরণের আশা কৃষকের

সোনালী আঁশে স্বপ্ন পূরণের আশা দেখছেন নাটোরের কৃষকরা। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলের সময় চোখে পড়ছে, পাটচাষী ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে, পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে। আর এই সোনালী আঁশ কৃষককে দিচ্ছে সোনালী স্বপ্ন পূরণের বার্তা।

ইতোমধ্যে হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাট। কৃষকেরাও পাচ্ছে ভালো দাম। উপজেলার পশ্চিম মাধনগরের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে পাটের ফলনও ভালো হয়েছে এবং প্রাথমিক অবস্থায় বাজারে পাটের দামও ভালো পাচ্ছেন। মণপ্রতি ৩২শ থেকে ৩৫শ টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছেন তিনি।

একই কথা জানালেন উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল হোসেন। তিনি বলেন, ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পোকামাকড় বা প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগে ক্ষতিও হয়নি, যার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। তবে গতবার বন্যার কারণে বেশ ক্ষতি হয়েছিল বলে জনান তিনি।

স্থানীয় আড়ৎদার মেসার্স হাবিবা ট্রেডার্সের মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাজারে পাট উঠতে শুরু হয়েছে, তিনি মণপ্রতি ৩২শ-৩৫শ টাকা দরে প্রায় ১০০ মণ পাট ক্রয় করেছেন। এগুলো মণপ্রতি ৩৭শ-৩৮শ টাকা দরে খুলনা, যশোর, মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলার জুট মিলে পাঠান তিনি।

আরেক আড়ৎদার মেসার্স সুমন বাণিজ্যলয়ের মালিক মোঃ কাজী সুমন জানান, বর্তমান বাজারে তিনি মণপ্রতি ৩২শ-৩৫শ দরে পাট কিনছেন। তবে তিনি মণপ্রতি ২০-৫০ টাকা কমিশন বিভিন্ন পাট মিলে এসব পাট সরবরাহ করে থাকেন।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকতা ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, পাটের সেই সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং কৃষকেরাও উৎসাহিত হচ্ছে। যার কারণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উপজেলায় যেখানে ১৫৬৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল। সেখানে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১৮১০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে।

এ বিষয়ে নাটোর পাট অধিদপ্তরের পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জুয়েল জানান, পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি জানান, আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তিতে পাট ও পাট বীজ উৎপাদন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নাটোর সদর এবং নলডাঙ্গা উপজেলায় ১২০০ কৃষকের প্রত্যককে ১২ কেজি করে সার ও ১ কেজি করে উন্নত পাটের বীজ প্রদান করা হয়েছে।

 
Electronic Paper