ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজারহাটে ধানের চারা একবার লাগিয়ে ফলন দু’বার

সরকার অরুণ যদু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৮:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

রাজারহাটে ধানের চারা একবার লাগিয়ে ফলন দু’বার

রাজারহাটে এক জমিতে একবার ধানের চারা লাগিয়ে দু’বার ফলন পেলেন অশ্বিনী ও অশোক কুমার নামের দুই কৃষক। প্রথম পর্যায়ে ধান কর্তনের পর মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ভালো ফলন পেয়ে তারা এলাকায় চমক লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শম্পা আক্তারসহ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে উক্ত জমির ধান কর্তন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবত্তর গ্রামে কৃষক অশ্বিনী কুমার ও তার ভাই অশোক কুমার চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে তাদের ১৫ একর (৪৫ বিঘা) জমিতে ইরি-বোরো চারা রোপণ করে এবং গত মে মাসের শুরুতে প্রথম পর্যায়ে ফসল কর্তন করে ঘরে তোলেন। এর ৮/১০ দিনের মধ্যে জমিতে ধানের নাড়া (শিকড়সহ বাকি অংশ) থেকে পুনরায় নতুন গাছ গজিয়ে ধানক্ষেতগুলো সবুজে ভরে যায়।

খবর পেয়ে ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাউর রহমান সরেজমিনে যান এবং ওই ক্ষেতটিকে ধানের রেটুন ফসল উৎপাদন প্লট হিসেবে নির্ধারণ করেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শম্পা বেগম ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান ওই কৃষকদের ধানের নাড়াগুলো নষ্ট না করে রেটুন পদ্ধতিতে সামান্য ইউরিয়া ও টিএসপি সার ছিটিয়ে নতুন গজিয়ে উঠা ধান গাছের পরিচর্যা করার পরামর্শ প্রদান করেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক অশ্বিনী কুমার ও অশোক কুমার ওই ক্ষেতের সামান্য পরিচর্যা করেন। এতে নতুন করে ধানের শীষ বেড়িয়ে একপর্যায়ে তা পরিপক্ক হয়। বৃহস্পতিবার ওই ক্ষেত থেকে দ্বিতীয় দফা ফসল কর্তন শুরু করেন তারা।

কৃষক আশ্বিনী রায় জানান, জমিতে পানি থাকায় সেচের প্রয়োজন হয়নি, সামান্য পরিচর্যা ও অল্প খরচে দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা প্রতি একর জমি থেকে ১৭/১৮ মণ করে ১৫ একর জমি থেকে আনুমানিক ২৬০ মণ ধান ঘরে তুলতে পারব বলে আশা করছি।

স্থানীয় কৃষক আক্কাছ আলী বলেন, এই পদ্ধতিতে একই জমি থেকে দু’বার ফসল উৎপাদনের বিষয়ে আমার তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। আগামীতে আমিও এই পদ্ধতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ফসল উৎপাদন করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শম্পা আক্তার বলেন, এটি ছিল এক ফসলি জমি ইরি-বোরো ফসল উৎপাদনের পর দু-আড়াই মাস জমি পড়ে থাকার পর পানি বৃদ্ধি পেলে তারা ওই জমিতে মাছ চাষ করত। এখন থেকে তারা এই পদ্ধতিতে একবার ধান বীজ রোপণ করেই দু’বার ফসল উৎপাদন ও মাছ চাষ করতে পারবেন। এতে দ্বিগুণ ধান ও খড় পাবেন কৃষকরা।

 

 
Electronic Paper