ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক গাছে ৭ রঙের মরিচ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
🕐 ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২১

এক গাছে ৭ রঙের মরিচ

একটি গাছে ধরছে সাত রঙের মরিচ। স্বাদে-গন্ধে স্বাভাবিক মরিচের মতো হলেও বাহারি এ মরিচ গাছ বেশ দৃষ্টিনন্দন। লালমনিরহাটের সৌখিন কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন বারি অর্নামেন্টাল চিলি-১ জাতের এ মরিচ চাষের প্রতি।

লালমনিরহাট পৌরসভার বানভাসা এলাকায় মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র থেকে এ জাতের মরিচের বীজ ও চারা বিনামূল্যে সংগ্রহ করছেন তারা। তবে এখনো বাণিজ্যিকভাবে এ মরিচের চাষ শুরু হয়নি। বর্তমানে শুধু ছাদ কৃষির জন্যই উপযোগী মরিচের এ জাতটি। এর চারা লাগাতে হয় টবে।

লালমনিরহাট মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক আহমেদ জানান, পাঁচ বছরের গবেষণা শেষে গত বছর থেকে এ জাতের মরিচের চারা ও বীজ আগ্রহী সৌখিন কৃষকের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এ মরিচের বীজ বপন করতে হয়। ৪০ দিন পর চারা স্বাভাবিক হলে তা টবে লাগাতে হয়। টবে চারা লাগানোর ৬০-৬৫ দিন পর মরিচ পাওয়া যায়। একটি গাছে ৭০-৮০টি মরিচ পাওয়া যায় এবং এক বছরে প্রায় ৭-৮ বার ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

ড. মোস্তাক বলেন, ‘এ জাতের এক গাছে সাত রঙের মরিচ হয়।

তবে যত্নের ঘাটতি থাকলে ৩-৪ রঙের মরিচ পাওয়া যায়। গাছগুলোতে মরিচ আসলে দেখতে বাহারি লাগে। তবে, স্বাদে-গন্ধে এটি স্বাভাবিক মরিচের মতোই।’
শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার সৌখিন কৃষক কলেজ শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, একই গাছে বিভিন্ন রঙের মরিচ দেখতে ভালো লাগে। মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এ জাতের মরিচের ছয়টি চারা এনে টবে লাগিয়েছি। ফলনও পাচ্ছি।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ জানান, এ জাতের মরিচের ফলন পেতে বিশেষ যতœ নিতে হয়। বাজারে যখন মরিচের সংকট সৃষ্টি হয়, তখন এ জাতের মরিচ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের বড় বড় হোটেল- রেস্তোরাঁ ও দেশের বাইরে এ জাতের মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

 
Electronic Paper