ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তরমুজের হালচাল!

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ, মে ০৮, ২০২১

তরমুজের হালচাল!

কেজি নয়, আস্ত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সাইজে বড় হলে দাম আরেকটু বেশি। এখন ক্রেতাও স্বাচ্ছন্দ্যে কিনছেন গ্রীষ্মের রসালো ফলটি। বিক্রেতারা বলছেন, তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে দাম কমেছে। আর কেজি হিসেবে বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করছি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র চোখে পড়ে।

বাজারে দেখা যায়, ক্রেতা আকর্ষণে কোনো কোনো বিক্রেতা পিস ১০০ টাকা বলে হাঁকডাক করছেন। ভেতরে লাল রঙ ও সুমিষ্ট হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েও তরমুজ বিক্রি করছেন কেউ কেউ। কোনো ক্রেতার সন্দেহ হলে তরমুজের একাংশ কেটে দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাতে তরমুজের রঙ ও দাম মিলিয়ে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরছেন ক্রেতা।

যাত্রাবাড়ীর তরমুজ বিক্রেতা বিদ্যুৎ বলেন, কয়েক দিন আড়তে তরমুজের সরবরাহ ছিল। এতে দাম বেশি ছিল। এখন যানবাহন পুরোদমে চালু হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমেছে। আবার কিছু জেলায় বৃষ্টির কারণে তরমুজ খেত তলিয়ে গেছে। এ কারণেও দাম কমে গেছে।

এক বিক্রেতা বলেন, আগে যে তরমুজের দাম কেজিতে পড়ত ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সেটি এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়ায় এখন আমরা পিস কিনছি ৭০-৮০ টাকায়। বিক্রি করছি ১০০ টাকায়। তবে বাজারে এখন ছোট সাইজের তরমুজ বেশি চোখে পড়ছে।

আরেক বিক্রেতা বলেন, তরমুজের পিস ১০০ টাকায় বিক্রি করায় ক্রেতার সাড়াও ভালো। আমরা কম দামে কিনতে পারলে বিক্রিও কমে করি। বাজারে এখন যে তরমুজ মিলছে তার বেশিরভাগ খুলনা অঞ্চলের। এসব তরমুজের আকার ও ওজন প্রায় কাছাকাছি। এছাড়া বাজারে ফলের রাজা আমসহ গ্রীষ্মের রসালো অন্য ফল আসায় ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে তরমুজ।

গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সরব হন। তাদের দাবি, তরমুজ কীভাবে ৫০-৬০ টাকা কেজি হয় স্বাভাবিকভাবেই একটি তরমুজ ৫ কেজির ওপরে হয়। এতে অনায়াসে তার দাম চলে আসে ৩০০ টাকা। আর বড় হলে আরও দাম বেড়ে যায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় হয়। বিভিন্ন স্থানে চলে অভিযান। অনেককে জরিমানা করা হয়। কঠোরভাবে বলা হয় তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না। আস্তে আস্তে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফিরে আসে।

 
Electronic Paper