গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে বারি আম-৪ ও বারি আম ১১ এর উৎপাদনশীলতা প্রদর্শন শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত গ্রামঞ্জলে ঘুরে বেড়াতেন কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে। তিনি দেশে সবুজ বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন। কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান যিনি তার সময়ে ৮০০ কোটি বাজেটের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা তিনি কৃষিতে বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তারই দেখানো পথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশে এখন কৃষকের সুবিধার জন্য কৃষককে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা, কমমূল্যে সার বিতরণসহ অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বারি আম-৪ ও বারি আম-১১ এর উৎপাদনশীলতা প্রদর্শন শীর্ষক অনুষ্ঠানটি হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা (ব্রি) ইনস্টিউটের মহাপরিচালক ড. শাজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমসহ অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য বিদেশ থেকে ‘ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট’ মেশিন আনার প্রক্রিয়া চলছে। যার মাধ্যমে পোকা-মাকড় দমনসহ বাংলাদেশের আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হবে এবং সেটি বর্তমান সরকারের আমলেই হবে।’

আলোচনা শেষে কৃষিমন্ত্রী বারি আম-৪ ও বারি-১১ আমের চারা বিতরণ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে একটি আমের চারা রোপণ করেন।
এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে ব্রি ৮১ ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশে যোগ দেন।