ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধানের পরিবর্তে কুমড়ো চাষ

তিনগুণ লাভবান হচ্ছেন কালিদহের কৃষকরা

ফেনী প্রতিনিধি
🕐 ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, মে ০৬, ২০২১

তিনগুণ লাভবান হচ্ছেন কালিদহের কৃষকরা

দাম ভালো পাওয়ায় ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নে ধানের পরিবর্তে কুমড়ো চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। এতে তাদের তিনগুন লাভ হচ্ছে বলছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, কালিদহ ইউনিয়নের ৪শ শতক জমিতে কুমড়ো চাষ করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালিদহ ইউনিয়নের কৃষকরা ধানের পরিবর্তে কুমড়ো চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ৪শ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ো ও ডিমি কুমড়ো চাষ করে অনেক টাকা আয় করেছে কৃষকরা। আগামীতে তারা আরো দ্বিগুণ কুমড়ো চাষ করবে বলে জানায় কৃষকরা। কালিদহ ইউনিয়নে কৃষকদের জন্য আইপিএম নামের একটি ক্লাব রয়েছে। ওই ক্লাবে ২০ জন সদস্য রয়েছে।

আইপিএম ক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম।

অপর সদস্যরা হলেন- আবদুল কাইয়ুম, আবদুল হাই, আব্দুল রউফ, সিরাজুল হক, মাহফুজুল হক, আবু তাহের, আবুল কালাম, আবদুল করিম, তাজুল ইসলাম, আনসার আলী, সাহাব উদ্দিন, নুর নবী ও জালাল আহম্মদ।

আইপিএম ক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনিও ২০ শতক জমিতে কুমড়ো চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে দ্বিগুণ কুমড়ো চাষ করবেন। প্রতি শতক কুমড়ো চাষে খরচ হয়েছে ৩শ টাকা। প্রতি শতক কুমড়ো বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকা। এতে খরচ মিটিয়ে ৭শ টাকা করে লাভ হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কুমড়ো বিক্রি করার পর ওই জমিতে আউশ ধান চাষ করবেন। এই জমিতে আমন, কুমড়ো ও আউশ চাষ করা হয়। তবে এখানে পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে তরমুজ চাষও করা হয়েছে। তরমুজের চাষও ভালো হয়েছে। বৃষ্টি হলে ফলন আরো ভালো হতো।

সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কৃষি অফিস থেকে কালিদহ আইপিএম ক্লাবকে কৃষি কাজে পানি সেচের জন্য ৬শ ৫০ ফুটের একটি পাইপ ও মোটর দেওয়া হয়েছে।

ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জনান, ধান চাষের চেয়ে কুমড়া চাষে খরচ কম। তাই কৃষকদের কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

 
Electronic Paper