ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সূর্যমুখীতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

সূর্যমুখীতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

নীলফামারীর ডোমারে কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এবারে উপজেলায় প্রদর্শনীসহ তিনশ’ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখীর ফুল ফুটতে শুরু করেছে। চারদিকে হলুদ রঙের অপরুপ দৃশ্য। সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষিতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কৃষকরা।

বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক রাম বাবু বলেন, সূর্যমুখী একটি লাভজনক ফসল। অন্যান্য ফসলের চেয়ে চাষাবাদে খরচ ও সময় কম লাগে। জমিতে দুটি চাষ দিয়ে সূর্যমুখী রোপণ করা যায়। রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত ২-৩ হাজার টাকা খরচ হয়।

পৌরসভার চিকনমাটি গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, সূর্যমুখীর জমিতে দুইবার সেচ ও অল্প কিছু সার দিলেই হয়। একটু পরিচর্যা করলে বিঘা প্রতি ৭-৮ মণ ফলন উৎপাদন করা যায়।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বলেন, সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৫৫ দিন হতে ৬০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু করে। ফুল ঝরে বীজ সংগ্রহ করতে ১১০ দিন সময় লাগে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রতিদিনেই আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসছেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। বাগানগুলোতে বর্তমানে হলুদ রঙের ফুলের অপরুপ দৃশ্য চোখে দেখার মতো।

চাষিরা জানান, আগে জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন। কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় দুইশ’ কৃষককে সরকারিভাবে এক কেজি সূর্যমুখী বীজ দেওয়া হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। একটু পরিচর্যা নিলে প্রতি বিঘায় ১০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।

 

 
Electronic Paper