ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পানিতে পচে যাচ্ছে সয়াবিন

ঋণ পরিশোধে চিন্তিত কৃষক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ০৯, ২০১৮

লক্ষ্মীপুর সয়াবিন উৎপাদনে বিখ্যাত। দেশের প্রায় ৮০ ভাগ সয়াবিন উৎপাদন হয় এ জেলায়। গত কয়েক বছর ধরে এ জেলায় সয়াবিন ভালো উৎপাদন হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের অপর নাম হয় সয়াল্যান্ড। এ সয়াবিন চাষের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৭০ হাজার কৃষক।

তবে এবার সয়াবিন ঘরে ওঠার আগেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা। এ অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে উৎপাদিত ৫৬০ হেক্টর জমির সয়াবিন পচে গেছে। জেলার কমলনগর, রামগতি ও রামগঞ্জের উৎপাদিত পাকা সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। ক্ষেতে পানি জমে থাকায় কাটা যাচ্ছে না। পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকে আবার শুকনো জমির কাঁচা সয়াবিন কেটে নিচ্ছেন। অনেক চাষিদের নিজের জমি না থাকায় ঋণ নিয়ে বর্গা চাষ করতে হয়েছে। এবছর সয়াবিনে লাভবান না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ঋণের টাকা পরিশোধে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে কমলনগরের চর লরেঞ্চ গ্রামের উৎপাদিত সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এসময় সয়াবিন কাটতে দেখা গেছে বেশ কয়েক হেক্টর জমিতে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে পচে গেছে সয়াবিন গাছ।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, রায়পুর ৫ হাজার ৫৪০, রামগঞ্জ ৮০, রামগতি ১৬ হাজার ৫শ ও কমলনগর ১৩ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে। মোট ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেল্লাল হোসেন খান জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ৫৬০ হেক্টর উৎপাদিত সয়াবিনের ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদনের হিসাবে এবার সয়াবিন চাষিরা লাভবান হওয়ার কথা। তবে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কিছু জমির সয়াবিন পচে গেছে। এতে অনেক কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

 
Electronic Paper