কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া
বি এম ফারুক, যশোর
🕐 ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২১
কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে যশোরে। কৃষি বিভাগ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, কৃষির প্রায় সব জায়গায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষি ব্যবস্থার আগের চিত্র বদলে গেছে। জেলার পুরো অঞ্চলে জমি চাষ, বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে ধান কাটা, মাড়াই, বস্তাবন্দিসহ প্রতিটি স্তরে যোগ হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। এতে একদিকে কৃষকের চাষে খরচ ও সময় যেমন সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ফসল আবাদ। আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার কৃষক পর্যায়ে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
জেলার মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা এলাকার আমির হোসেন বলেন, আগে তারা চিরাচরিত নিয়মে কৃষি কাজ করে আসছেন। সম্প্রতি আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষি খাতে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এখন আমরা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করছি। এক একর জমির ধান রোপণ করতে গিয়ে যেখানে একদিন সময় লেগে যেত সেখানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক থেকে দেড় একর জমির ধান সহজেই রোপণ করা যাচ্ছে। আগের পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে গিয়ে যেমন বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। এখন তা হচ্ছে না। একজন কৃষকই একটি মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন।
একই মাঠে কৃষক সোলাইমান কবীর বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃষি ব্যবস্থা আধুনিক করার কারণে কৃষিতে উন্নতি ঘটলেও আমাদের দেশে তার পরিবর্তন ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্র আসায় আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। একদিকে যেমন চাষাবাদ বেশ সাশ্রয়ী হচ্ছে তেমনি ফলনও বেশি পাব বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার ধান রোপণ, কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য এসব যন্ত্র যদি সহজ শর্তে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করে তাহলে বাংলাদেশের কৃষি চিত্র একেবারেই পাল্টে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) দীপঙ্কর দাস বলেন, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে কৃষির আধুনিক যন্ত্র সহজ শর্তে সরবরাহ করা হচ্ছে। যা ইতিমধ্যে কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এখন সবজি ধোয়া ও পরিষ্কার করা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে। ধান কাটা ও লাগানোর কাজেও যন্ত্র ব্যবহার করছে। একইভাবে প্যাকেট জাতও করা হচ্ছে যন্ত্রের সাহায্যে। আগামীতে কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।