নরসিংদীর সবজি সুনাম কেড়েছে সারা দেশে
নরসিংদী প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০২, ২০২১
দেশের বৃহত্তম সবজি উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত নরসিংদী। তবে সবজি উৎপাদনে শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাব উপজেলা এগিয়ে থাকলেও এবার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের বাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে সয়লাব। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ৪০ শতাংশ সবজির চাহিদা মিটিয়ে থাকেন নরসিংদীর চাষিরা। তাই সবজি উৎপাদনে সারা দেশে বেশ সুনাম কেড়েছে জেলাটি।
দেখা গেছে, জেলার প্রতিটি উপজেলায় চলছে শীতকালীন সবজি চাষ। এসব উৎপাদিত সবজি এখন খেত থেকে জেলার বিভিন্ন পাইকারি বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে। কৃষকরা বাজারে নিয়ে আসছেন লাউ, শিম, ঝিঙা, পেঁপে, মুলা, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন শাকসবজি। করোনাকালীন সবজির চাহিদা থাকায় কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। তবে ফুলকপি, বাধাকপির উৎপাদন অনুযায়ী মূল্য নিয়ে সন্তুষ্ট নন কৃষকরা।
বাজার ঘুরে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হচ্ছে বারৈচা, নারায়ণপুর, জংলি শিবপুর ও মরজাল এলাকা। বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
রাজধানীর বৃহত্তম সবজির বাজারসহ সিলেট, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ভৈরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এখান থেকে সবজি কিনে নিয়ে যান। প্রতি হাটেই হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে এই বাজারগুলোতে। আর এসব বিষমুক্ত সবজি চলে যায় দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, নরসিংদীর মাটি উর্বর হওয়ায় এখানকার সবজির ফলন তুলনামূলক অন্যান্য জেলার চেয়ে ভালো। আর ঢাকার পাশের জেলা হওয়ায় এই জেলায় বিষমুক্ত সবজির চাহিদাও বেশি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ৪০ শতাংশ সবজির চাহিদা মিটিয়ে থাকেন নরসিংদীর চাষিরা।
নরসিংদী জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক শোভন কুমার ধর জানান, এবার কৃষকদের শীতকালীন আগাম সবজির চাষ খুব ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে শীতকালীন সবজির ফলন আরও ভালো হবে। ১০ হাজার ৯১ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।