ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

টমেটোর ভালো ফলনেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট)
🕐 ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০

বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় গত পাঁচ বছরের তুলনায় এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ভালো ফলনেও হাসি নেই চাষির মুখে।

শীত বাড়লে কোভিড এর চাপ বাড়তে পারে, এটাই মূলত চাষিদের দুশ্চিন্তার মূল কারণ। টমেটো শীতকালীন ফসল আর শীতের সঙ্গে যদি কোভিড বাড়তে থাকে তাহলে উৎপাদিত টমেটো নিয়ে বিপদে পড়বে তারা।

যদি পাইকার না আসে তাহলে উৎপাদিত টমেটো অবিক্রিত থাকবে। করোনাকালীন সময়ে চাষিদের গোছানো টাকায় সংসার চলেছে। এখন টমেটো সামনে রেখে তারা বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। কোনো কারণে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেলে চাষিদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন, চিতলমারী উপজেলায় এবছর ৬শ’ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় ফলনও খুব ভালো দেখা যাচ্ছে।

চাষিরা যদি প্রতি কেজি টমেটো গড়ে ২০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারে তাহলে তারা লাভবান হবে। আগাম চাষের জন্য এলাকার কিছু জমিতে ভাইরাসজনিত রোগ দেখা দিলে অফিশিয়ালি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এখন কোনো সমস্যা নেই। আমি উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

উপজেলার খড়মখালী গ্রামের টমেটো চাষি বিকাশ হীরা বলেন, এবছর ২৫শ’ টমেটো গাছ লাগিয়েছি। বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক ব্যয় বাবদ প্রায় ৩৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ৫/৬ বছরের তুলনায় ফলনও অনেক ভালো। ফল কিছু কিছু পাকতেও শুরু করছে। সব টমেটো যথাযথভাবে বিক্রি করতে পারলে আমার বেশ লাভও হবে।

স্থানীয় কাঁচামালের পাইকার মনি মোল্লা, লিপন মজুমদার এবং অসীম বিশ্বাস জানায়, অন্য বছরগুলোতে এ সময় ঢাকা-চিটাগাংয়ের পাইকাররা যোগাযোগ করে।

এ বছর এখনো তাদের তেমন খোঁজ নেই। হাটে সামান্য কিছু পাকা টমেটো উঠতে শুরু করছে। তবে ভরা মৌসুমে বাইরের পাইকার না আসলে টমেটো অবিক্রিত থাকবে৷

 

 
Electronic Paper