ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শীতের আগাম সবজিতে কৃষকের হাসি

যশোর প্রতিনিধি
🕐 ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮

যশোরে শীতকালীন আগাম চাষ করা সবজিতে মাঠ ভরে গেছে। মাঠের পর মাঠ সবুজ সমারোহ। গতবার আগাম সবজি চাষ করে অতি বর্ষার কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সময়োপযোগী আবহাওয়া শীতকালীন আগাম সবজি চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। যে কারণে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, যশোর জেলায় ১৩ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। ভরা মৌসুমে অর্থাৎ অক্টোবর মাসে সবজির আবাদের পরিমাণ বাড়বে। চাষের পরিমাণ ১৬ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, বর্তমানে শীতকালীন আগাম সবজি আবাদ চলছে পুরোদমে। উৎপাদিত সবজি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোরের সবজি ছড়িয়ে পড়ছে দেশ-বিদেশে।
যশোরের সবজি রাজ্যখ্যাত যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের মাঠগুলোয় শীতকালীন সবজির সমারোহ চলছে। যে দিকে নজর যায় সেদিকেই দেখা মিলছে নানা প্রকারের সবজি ক্ষেতের। এর মধ্যে মুলা, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম, বেগুন, ঢেঁড়স, পটল, শসা, পুইশাক লালশাক ও পালংশাক উল্লেখযোগ্য।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানিয়েছেন, যশোর সদর উপজেলায় শীতকালীন আগাম সবজির চাষ হয়েছে ২৮শ হেক্টর। এরমধ্যে সবজির জন্য বিখ্যাত হৈবতপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৩২৮ হেক্টর, চুড়ামনকাটি  ইউনিয়নে ৪২৫ হেক্টর ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ২৮৩ হেক্টর জমিতে শীতকালীন আগাম সবজির চাষ হয়েছে।
ওই তিন ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন, হাসান আক্তার ও জহির আহমেদ জানিয়েছেন, শীতকালীন আগাম সবজি চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হয়। কেননা এ এলাকার সবজির ব্যাপক সুনাম রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চুড়ামনকাঠি, আব্দুলপুর ছাতিয়ানতলা, সানতলা, নুরপুর, বাগডাঙ্গা, দোগাছিয়া, সাজিয়ালী, শ্যামনগর ও কমলাপুরস হৈবতপুর, তীরেরহাট, মানিকদিহি, মথুরাপুর, শাহাবাজপুর, মুরাদগড়, কাশিমপুর, বিজয়নগর, দৌলতদিহি, বালিয়াঘাট ললিতাদাহ, বালিয়াডাঙ্গা, বেনেয়ালী, ডহেরপাড়া, লাউখালী ও নাটুয়াপাড়ার প্রতিটি মাঠ শীতকালীন আগাম চাষে ভরে রয়েছে। সবজি চাষে বদলে গেছে মাঠের দৃশ্যপট। চিরচেনা সবুজ দৃশ্য যে কোনো মানুষের নজর কাড়ছে।
সবজি চাষি আতিকুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মিন্টু মিয়া, জামাল উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, আশাদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও বজলু মিয়াসহ অনেকেই জানান, একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় তারা আগাম সবজির চাষ করে থাকেন।
আগাম সবজি চাষ করে গতবার বৃষ্টিপাতের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার সময়োপযোগী আবহাওয়া ও পরিমাণ মতো বৃষ্টির কারণে সবজিতে বাম্পার ফলন পাবেন। এবার তারা আর্থিক লাভের আশা করছেন।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, যশোর সবজির জেলা হিসেবে সারা দেশে পরিচিত। প্রতি বছর এখানে দুই মৌসুমে সবজির আবাদ হয়।
এই বছর আগাম সবজি চাষে কৃষকরা লাভবান হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজি চাষিদের ভাগ্য খুলেছে।

 
Electronic Paper