সুদিন ফিরেছে চরাঞ্চলে
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
🕐 ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ উৎপাদিত শাকসবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ভালোমানের বীজে অধিকতর ফসল উৎপাদনে এলাকার জনমনেও সবজি চাষাবাদে আশার সঞ্চার হচ্ছে। সবজি বীজ বিতরণ ও ভেড়া প্রদানের আগে চরাঞ্চলের মানুষের আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষের ওপর উপজেলা কৃষি ও প্রাণিসম্পদ অফিস প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
ভেড়া পালনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা টিকা ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট প্রদান করছেন। জেলার চিলমারী, রৌমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ২৪টি গ্রামের দুস্থ চরবাসীদের মাঝে ভেড়া প্রদান, সবজি বীজ, কীটনাশক ফাঁদ ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটি এসব প্রদান করছে।
চিলমারী উপজেলার চর বজরাদিয়াখাতা এলাকায় এফডিএমসির সদস্য মিনারা বেগম প্রশিক্ষণ নিয়ে দারিদ্র্যতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। মিনারা বেগম ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রকল্প থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পেয়ে থাকেন। এই টাকা দিয়ে তিনি নিজে একটি ভেড়া কেনেন। এই ভেড়া পালন করে বেড়ে এখন তার আটটি ভেড়া হয়েছে। এসব বেড়ার দাম প্রায় ২৮ হাজার টাকা।
মিনারা বেগম জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে শাকসবজি উৎপাদনের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়িতে সবজি উৎপাদন করে এ বছর ৫ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। দুটি ভেড়া বিক্রির টাকা দিয়ে ১৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু কিনেছেন।
ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের টিম লিডার নাঈম খান জানান, চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ভালোমানের সবজি বীজ বিতরণ করে সদস্যদের চাষাবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম মল্লিক জানান, সবজি চাষের ওপর উপজেলা কৃষি ও প্রাণিসম্পদ অফিস প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ এ কার্যক্রমের সুবিধা পেয়ে উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।