ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাল্টা চাষে সম্ভাবনা

আবদুর রউফ পাভেল, নওগাঁ
🕐 ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বরেন্দ্রভূমিতে মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ওবায়দুল্লাহ শাহ নামে এক শৌখিন কৃষক। প্রতি বছরই তার আয় বাড়ছে। মাল্টা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

জেলার ঠা ঠা বরেন্দ্রভূমি অধ্যুষিত পোরশা উপজেলা। উঁচু-নিচু স্টেডিয়ামের গ্যালারি সাদৃশ্য জমিতে পানি ধরে রাখা খুবই কঠিন। তাই ধান চাষে উপর্যুপরি লোকসানের মধ্যে পড়ে এ অঞ্চলের কৃষক লাভজনক বিকল্প ফসলের দিকে আগ্রহী হয়ে পড়েন।

জেলার পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় প্রচুর পরিমাণ আমবাগান গড়ে উঠছে। এলাকায় যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু আম বাগান। পাশাপাশি কেউ কেউ লাভজনক ভিন্ন ফসল উৎপাদনের নজির সৃষ্টি করেছেন। তাদেরই একজন ওবায়দুল্লাহ শাহ। তিনি নিজস্ব ৫৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন মাল্টা, বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং পেয়ারা বাগান।

এর মধ্যে প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে মাল্টা বাগান। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮ বিঘা জমিতে ৩ বছর ধরে মাল্টা ধরছে। আর ১০ বিঘা নতুন বাগান। এই ৮ বিঘায় রয়েছে এক হাজার মাল্টা গাছ। প্রথম বছর প্রতি গাছে ৭ থেকে ৮ কেজি করে মাল্টা উৎপাদিত হয়। ওই বছর মোট মাল্টা উৎপাদিত হয় প্রায় ৮ হাজার কেজি।

প্রতি কেজি পাইকারি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায়। দ্বিতীয় বছর প্রতি গাছে কমপক্ষে ২০ কেজি করে মাল্টা উৎপাদিত হয়। যার বিক্রি মূল্য ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। আর এ বছর প্রতি গাছে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কেজি করে মাল্টা ধরেছে। এতে এ বছর ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার কেজি মাল্টা উৎপাদিত হবে। তার মাল্টা বিক্রির প্রধার বাজার নাটোর। নাটোরে ব্যবসায়ীদের কাছে তার বাগানের মাল্টা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি আগের মতোই ১০০ টাকা দরে। সেই হিসাবে এ বছর তার জমির মাল্টা বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা।

ওবায়দুল্লাহ শাহ বলেন, মাল্টা চাষে সফলতা এবং আর্থিক লাভের বিষয়টি দেখে এলাকার অনেক চাষিও মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা নিয়মিত তার পরামর্শ গ্রহণ করছেন। মাল্টা বাগানে প্রায় ১৫-২০ জন পুরুষ এবং নারী শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজ আলম বলেন, বরেন্দ্র অধ্যুষিত এসব উঁচু জমিতে মাল্টা চাষের উজ্জ¦ল সম্ভাবনা রয়েছে। তার দৃষ্টান্ত তেঁতুলিয়া গ্রামের ওবায়দুল্লাহ শাহ। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই এখন মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার মাল্টা চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 
Electronic Paper