ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সবজি চাষে সাফল্য

শহীদনূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ
🕐 ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

সুনামগঞ্জ শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা দিলদার হোসেন। বাসার সামনের আঙিনায় সবজির চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। পরিবারে দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যেও এ সবজি বিতরণ করে আসছেন দিলদার হোসেন। কয়েক বছর ধরে শখের বশে সবজি চাষ করে আসছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি স্থানীয়দের মধ্যে দক্ষ সবজি চাষি হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। তার চাষাবাদ পদ্ধতিও বিজ্ঞানসম্মত।

দিলদার হোসেন খোলা কাগজকে জানান, সদিচ্ছা থাকলে বাড়ির আঙিনা, ছাদ বা খোলা স্থানে সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দিলদার হোসেন পশ্চিম তেঘরিয়া বস্তি এলাকার তার শ্বশুরবাড়ির আঙিনায় ৫ শতক জমিতে সবজি চাষ করেছেন। এখানে তিনি শিম, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, খিরাই, মুলা, লালশাক, ডাঁটা শাক, মরিচসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন।

স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে উন্নত জাতের বীজ রোপণ করে ফলন পেয়েছেন তিনি। মুলা ও লালশাক, লাউয়ের মৌসুম শেষদিকে। গত চার মাস ধরে ফলনকৃত শিম দিয়ে পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনের মধ্যেও বিতরণ করেছেন দিলদার হোসেন। বর্তমানে তার আঙিনায় অর্ধশতাধিক মিষ্টিকুমড়া গাছ রয়েছে। রয়েছে লাউ গাছ।

এসব সবজির মৌসুম শেষ হওয়ার পর একই স্থানে পাট শাকসহ সমসাময়িক সবজি চাষ করবেন বলে জানান দিলদার হোসেন। তার উৎপাদিত সবজি খেতে যেমন সুস্বাদু; তেমনি স্বাস্থ্যকর। তার মতো বাড়ি আঙিনা ও উন্মুক্ত স্থানে সবজি চাষ করার জন্য শহরের বাসিন্দাদের পরামর্শ দিয়েছেন।

দিলদার হোসেন বলেন, কয়েক বছর বাড়ি আঙিনা, ছাদ ও উন্মুক্ত স্থানে সবজি চাষ করে আসছি। সবজি চাষে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে থাকি। আমি সব সময় সবজির উৎপাদন ভালো পেয়েছি। যার মাধ্যমে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ইচ্ছা থাকলে সবজি চাষে সফলতা আনা সম্ভব।

 
Electronic Paper