মরিচের ফলনে খুশি চাষি
‘হামার ভাগ্য বদলে গেছে’
মোস্তাক আহমেদ, কাউনিয়া (রংপুর)
🕐 ১২:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
কাউনিয়ায় তিস্তার চরে এখন মরিচের সমারোহ, ফলন ও দাম ভালো। তাই কৃষখ-কৃষাণীর মুখে হাসির ঝিলিক। ওরা বলছে মরিচ চাষ হামার ভাগ্য বদলে গেছে।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত ২৯টি চর এখন মরিচ ক্ষেতের ঘন সবুজে ঘেরা মরিচের সমারোহ। চারিদিকে জমিগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাঁচা-পাকা মরিচ। অন্য বছরের মতো এবার নয়, এবার মরিচ চাষ করে কৃষকেরা ভালো দামও পেয়েছেন।
স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে কাউনিয়ার মরিচ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর ৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪শ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৪৬০ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ মরিচ ক্ষেতই হলো তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে।
উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চর নাজির দহ, পল্লীমারী, চর চতুরা, প্রাণনাথ চর, চর আরাজী, বল্লভবিষু, চর সাব্দী, গোপী ডাঙ্গা, চর পাঞ্জরভাঙ্গা, চর গদাই, চর ঢুষমারা, পূর্ব নিজপাড়া, চরগনাই, চর হয়বতখাঁ, চর আজমখাঁ ও চর রাজীবসহ তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষা চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিস্তার চরাঞ্চলে পলি ও উর্বর দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো ও অধিক দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশি।
কৃষকরা জানান, ‘তিস্তার চরে মরিচ চাষ হামার ভাগ্য বদলে দিছে, এলা হামার সংসারোত অভাব নাই।’
উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত রফতানি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও তিস্তার জেগে ওঠা চরের জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় এলাকার মাটির প্রকৃতি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য উপযোগী।